ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিটি ডেন্টালে বিদেশি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

মাজেদুল নয়ন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৪
সিটি ডেন্টালে বিদেশি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ঢাকা: একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে এক বিদেশি ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন তারই এক শিক্ষক। নেপাল থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসা ওই শিক্ষার্থী রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিটি ডেন্টাল কলেজে অধ্যায়নরত।

শিক্ষক ডা. কাওছার কলেজের চিল্ড্রেন প্রিভেনটিভ অ্যান্ড কমিউনিটি ডেন্টেস্ট্রি বিভাগের চিকিৎসক।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্ররা জুতোপেটা করে ওই শিক্ষককে। তবে নেপালের ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ৩দিন অতিবাহিত হলেও ব্যবস্থা নেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কলেজে পূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে বারবারই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়েছে। বরং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় শিক্ষকেরা। বর্তমানে কলেজটিতে ৬৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নেপাল থেকে এসেছেন এবং অধিকাংশই ছাত্রী।

কলেজের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী বাংলানিজকে বলেন, আমরা অনেক টাকা খরচ করে এদেশে পড়তে আসি। ভর্তি হওয়ার পর আর কিছু করার থাকে না। কাঠমুন্ডুতে কলেজের এজেন্ট রয়েছে। তাদের মাধ্যমে আমরা এদেশে এসেছি।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, নেপাল থেকে ছাত্রী বেশি আসে এখানে। বাংলাদেশে পড়াশোনার পরিবেশ ভালো। অনেক বছর আগে থেকেই এখানে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা আসছে। তবে দুই একজন শিক্ষকের কারণে এখানকার শিক্ষার পরিবেশের বদনাম হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিদেশি শিক্ষার্থী হারাবে।

মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত কলেজটির পাশেই রয়েছে কলেজ হোস্টেল। মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করে থাকতে হয় এই হোস্টেলে। বিদেশি ওই শিক্ষার্থী বলেন, এখন হোস্টেলও আমাদের্ কাছে নিরাপদ মনে হচ্ছে না।

অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে গত শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আজিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। বিষয়টি আমরা দেখবো। শিক্ষককে বহিষ্কার করা হবে।

একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বের অভিযোগ রয়েছে। এই সর্ম্পকে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, এভাবে সময়ক্ষেপণ করে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে বাঁচাতে চাইছেন। কারণ তিনি চিল্ড্রেন প্রিভেনটিভ অ্যান্ড কমিউনিটি ডেন্ট্রিস্টি বিভাগের প্রধান এবং কাওছার বিভাগের লেকচারার।

বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে আজিজা বেগমকে সোমবার সকালে আবারো ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও দেখা মেলেনি এবং কথা বলা সম্ভব হয়নি ডা. কাওছারের সঙ্গে।

বাংলাদেশ সময় ১২৪৩ ঘন্টা, ০২ জুন, ২০১৪

বিদ্র: মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে পারেন বাংলানিউজকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা পেতে অনিয়মের শিকারের অভিযোগও জানান। ০১৬৭৪১৭৪০৭০ নম্বরে ফোন দিয়ে অথবা mazadul.noyon@gmail.com এড্রেসে মেইল করে জানিয়ে দিন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।