ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাটে হাটে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য-ক্যাম্প

শাহজাহান মোল্লা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৪
হাটে হাটে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য-ক্যাম্প ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদের বাকি আর মাত্র চারদিন। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের হাটগুলোতে কোরবানির পশু উঠে গেছে।



এখন চলছে বেচা-কেনার প্রস্তুতি। পছন্দের পশুটি কিনতে মানুষের ভিড় বাড়ছে হাটে হাটে। তবে বাদ সেঁধেছে ভেজালযুক্ত পশু নিয়ে। কেননা হাটে গেলেই চোখে পড়ে মোটাতাজা পশু। ভয় এখন, টাকা দিয়ে ভেজাল কিনছেন না তো! এ সংশয় মনে নিয়ে কিনতে হচ্ছে কোরবানির পশু।
 
তবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে রাজধানীর সবগুলো মার্কেটেই থাকছে বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাম্প। এখানেই গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
 
রাজধানীর পশুহাটগুলোর কর্ণধার সরকারি সেবা সংস্থা সিটি কর্পোরেশন। এ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অপর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নিয়ে নামেমাত্র স্বাস্থ্য ক্যাম্প বসানো হচ্ছে।

তাও আবার পশু হাটে প্রবেশ করার এক সপ্তাহ পরে। তাই, সরকারের এই ঘোষণা অনেকটাই নিষ্ফল বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা।
 
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনছার আলী খান বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে বাংলানিউজকে বলেন, গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত নয়। যতটুক আছে, তা দিয়েই শুক্রবার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে হাটে হাটে।
 
তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতি হাটেই আমাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা থাকবেন। সেখানেই গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে দেওয়া হবে যে, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো ওষুধ গরুকে খাওয়ানো হয়েছে কিনা।

তবে যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রমাণিত হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার কোনো উত্তর জানা নেই এই কর্মকর্তার।
 
অনেক আগে থেকেই রাজধানীর হাটে গবাদিপশুর আনাগোনা শুরু হয়েছে, তাহলে এই স্বাস্থ্য ক্যাম্প কতটুক কার্যকর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস্তবতা তো আপনারাও বোঝেন! আমাদের কিইবা করার আছে! সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই, আমাদের যা না করলেই নয়, তাই-ই করতে হচ্ছে।
 
প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ১৯টি হাট বসানো হয়েছে কোরবানির পশু কেনা-বেচার জন্য।
 
শেষপর্যন্ত এবারও থাইরয়েন, হরমন স্টেরয়েড, কোটিসল, ডেক্রামিথাসন, হাইড্রোকটিসন, বিটামিথাসন ও প্রেডনিসলনযুক্ত গরুই কোরবানি দিতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলামনদের। স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা এখন কাগুজে বাঘ মাত্র। হাইকোর্টের নির্দেশনাও অকার্যকর প্রায়!
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।