ঢাকা: ভারতীয় উপমহাদেশে করলা অত্যন্ত পরিচিত একটি সবজি। এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এ সবজিটি জন্মে বেশি।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, করলা ডায়াবেটিস ও কয়েক প্রকার ক্যানসারের চিকিৎসায় কার্যকরী। করলা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এন্টিভাইরাল এ সবজিটি ফ্যাট কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
![](files/November2015/November21/Corola_1_785632733.jpg)
ধারণা অনুযায়ী, ফল ও সবজির মধ্যে করলা সবচেয়ে তিতা। এটি পেটে ব্যথা, জ্বর, চর্মরোগ ও পোড়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে প্রাকৃতিক নিরাময়ক হিসেবে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অনেকেই জানেন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অনেক দ্রুত বাড়ে। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়, অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের ওপর করলার ওষুধি প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা যায়- করলার রস ক্যানসার সেল তৈরি হওয়া বন্ধ করে ও নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
![](files/November2015/November21/Corola_2_300220456.jpg)
কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এটি বেড়ে ওঠা টিউমারকে ৬০ শতাংশ হারে কমায়।
সহজলভ্য ও উপকারী হওয়ায় করলা প্রায়শই ডায়েট মেন্যুতে থাকে। তবে সুস্থ থাকতে ঠিক কী পরিমাণ করলা খাবেন তা জেনে নেওয়া ভালো। একজন ব্যক্তির প্রতিদিন দুই আউন্স বা ৫৭ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
![](files/November2015/November21/Corola_3_678973681.jpg)
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গর্ভবতী নারীদের করলা খাওয়া ঠিক নয়। এটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এসএমএন/এএ
** রসুন খান হৃদরোগ তাড়ান