এটাই কিন্তু একমাত্র গবেষণা নয়। এর আগেও সময় মাফিক কাজ করলে ভালো ফলের গবেষণা কম হয়নি।
আসলে শরীরের প্রতিটি বিষয়েই ভালো থাকা মন্দ থাকার জন্য এই সময় মেনে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেহঘড়ি জীববিজ্ঞান বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক রাসেল ফস্টার, যিনি ‘জীবনের স্পন্দন’ বইয়েরও রচয়িতা, এসবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ধরিত্রীর প্রতিটি জীবনই আলো আর অন্ধকার চক্রের সঙ্গে মিল রেখে পাল্টায়। একটি এককোষি ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে মানব সন্তান সবাই সময়েরই প্রতিনিধিত্ব করে।
যারা দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে তারা এই সত্য অনুধাবন করেছেন। কিন্তু জীবনের স্পন্দন আর তার প্রভাব জানতে আপনাকে নিজ আঙিনার বাইরে যেতে হবে না।
আর বাস্তবতা হচ্ছে- আমাদের কিন্তু মোটে একটি দেহঘড়ি নয়, আমাদের দেহের ভেতরেই রয়েছে অসংখ্য দেহঘড়ি।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাইকেল হ্যাস্টিংস এর ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে: আমরা এটা ভাবতেই অভ্যস্ত আমাদের মস্তিষ্কে একটি ঘড়ি বসানো রয়েছে আর সেই ঘড়ি থেকে সারা শরীর কখন কি করবে তার নির্দেশনা দিচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে শরীরের প্রতিটি অংশে, প্রতিটি প্রত্যঙ্গের, প্রতিটি স্পন্দনেই রয়েছে এর নিজস্ব ঘড়ি- আর তার কোনও কোনওটি মাস্টার ক্লক থেকে নির্দেশনা শুধু নেয় না, কখনো কখনো সেই ঘড়িকেই প্রভাবিত করে তার নিজের নির্দেশনা দিয়ে।
সবমিলিয়ে এই এক ঐকতান। শরীরের মূল ঘড়ি মস্তিষ্কে স্থাপিত। আর সেটিই পরিচালক। সেটাই এই ঐকতানের ছন্দ-স্পন্দন নির্ধারণ করে। আর অন্য সকল ঘড়ি এমন ভাবে এর সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যে, যে যার মতো যথা সময়ে ছন্দে ছন্দে বাজনা বাজিয়ে চলে।
তাহলে এই দেহঘড়ির সবল ও দুর্বল দিকগুলোর কিভাবে সমন্বয় করা হবে।
দেহঘড়ি চলুক সময় মেনে: সকাল ৬টা>>>