ঢাকা: ঘরের এবং স্থানীয় খাবারেই শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে একটি গবেষণা। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিএমআরসি ভবনের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভায় গবেষণার বিস্তারিত দিক তুলে ধরা হয়।
পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা, জামালপুর পৌরসভা ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মোট ৮১ জন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য ও শাক-সবজি ব্যবহার করা হয়। এ গবেষণার আওতায় ৮১ জন শিশুকে নিয়মিত প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় এবং মায়েদের খাদ্য তৈরির প্রণালী ও খাবার পরিমাণ, খাবার নিয়মাবলী সর্ম্পকে ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হয়।
৬ সপ্তাহ ধরে নিবিড়ভাবে মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। গবেষণা শেষে তুলনামূলক আলোচনায় দেখা যায় যে, গড়ে প্রতিটি শিশুর ০.৫১ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষণায় ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুদের সর্বোচ্চ ০.৬৩ কেজি ও ২৪ থেকে ৫৯ মাসের শিশুদের সর্বনিম্ন ০.৪৪ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্য গবেষণায় ৮০ জন শিশুর আয়রন সন্তোষজনকভাবে বেড়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকণা জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-বি-১২ বেড়েছে। সুতরাং বলা যায়, যে হোমমেড থেরাপেটিক ফুডের মাধ্যমে মারাত্মক অপুষ্টি শিশুদের সহজে ও কম খরচে পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা যায় এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসচিব সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ খুব কম সময়ের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং কোনো দুর্বল প্রজন্মকে নিয়ে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই না। এ প্রসঙ্গে তিনি পুষ্টির সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরেন।
বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এমএন/এএসআর