ঢাকা: প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে আমরা প্রায় ২৫ হাজার বার ফুসফুসের ব্যবহার করি। ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখ যেমন- ক্যানসার, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজেস ও অ্যাজমা শরীরের অক্সিজেন শোষণে সীমাবদ্ধতা তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুস ভালো রাখতে মেনে চলা উচিত ফ্রেশ খাবারের ভালো ডায়েট। কুমড়ো, পেঁপে, শাক, বাঁধাকপি, বেল পেপার, পেয়ারা, কালো বিন, ডাল, স্যালমন ও বাদামি আলু খাওয়া ফুসফুসের জন্য ভালো খাবার।
ক্যারোটিন
ক্যারোটিন পরিবারের বিটা-ক্রিপটোজানথিন এবং লিউটেইন ও জিজানথিনের সংমিশ্রণ ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বিটা-ক্রিপটোজানথিন সবচেয়ে বেশি রয়েছে মিষ্টি কুমড়ো ও পেঁপেতে। শরীরে লিউটেইন ও জিজানথিনের যোগান দিতে খাবারে রাখুন সবুজ শাক-সবজি।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি
ঠাণ্ডা লাগলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, ফুসফুসের ইনফেকশন ও নিউমোনিয়াতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দারুণ উপাদেয়। জার্নাল অব রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনে ২০০৭ সালে করা পাঁচটি গবেষণার রিভিউতে বলা হয়, তিনটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, ভিটামিন সি নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক। বাকি দু’টি গবেষণায় পাওয়া গেছে, ভিটামিন সি এর থেরাপিউটিক প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য। ভিটামিন সি’র উৎস হিসেবে বাছাই করতে পারেন কমলা, হলুদ বেল পেপার ও পেয়ারা।
ফলেট
প্রচুর পরিমাণে ফলেট গ্রহণ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস, এমফিসেমা, ব্রঙ্কাইটিজ ও অ্যাজমা থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষিত রাখে। এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০১০ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফলেটজাতীয় খাবার কম খাওয়া। ডাল ও কালোবিনে রয়েছে ফলেট যা ফুসফুসের কার্যপ্রণালীকে সঠিকভাবে অব্যাহত রাখে।
ভিটামিন বি-৬
ফুসফুসকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাশি এটি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ২০১০ সালে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, তিন লাখ ৮৫ হাজার ধুমপায়ী ও অধুমপায়ীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যাদের রক্তে ভিটামি বি-৬ এর মাত্রা বেশি তাদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
এসএমএন/এইচএ/