ঢাকা: বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠী তরুণ। তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে এই যুবসমাজ ক্রমে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
বুধবার (১৫) জুন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্স সেল (টিসিআরসি), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) সংগঠনের বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন করে। ২০১৫ সালে সংশোধিত আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করে। সংশোধিত আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, গত ১৯ মার্চ থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সম্বলিত প্যাকেট বাজারে এসেছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী কোনো তামাক কোম্পানি মোড়কের উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেয়নি।
আইনে আরও স্পষ্ট উল্লেখ আছে, সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক, প্যাকেট, কার্টন বা কৌটায় উল্লেখিত সতর্কবাণী ও সংশ্লিষ্ট ছবি ক্রমানুসারে তিন মাস পর পর পরিবর্তন করতে হবে। এবং তা মোড়ক, প্যাকেট, কার্টন বা কৌটার উভয়পাশের উপরিভাগের ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে থাকতে হবে। কিন্তু তা দেখা যায় না। জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, তামাকজাত দ্রব্য তরুণ সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারের উচিত এই তামাকজাত দ্রব্যের উপর বেশি করারোপ করা। যে দেশে যত বড় ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়া হয়, সেদেশে তামাকের ব্যবহার দ্রুত কমছে। বিশেষ করে তরুণদের তামাকের মরণনেশায় নিরুৎসাহিত করতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
এসজে/এএ