ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৩৯ দিন বন্ধ ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
৩৯ দিন বন্ধ ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা

ফরিদপুর: ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স। তেল সরবরাহ না থাকায় গত ৩৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স দু’টি।

এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। গত ৫ মে থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স দু’টিকে।

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় দরিদ্র রোগীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। বাধ্য হয়ে অধিক ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলা সদরের কোমরপুর ফিলিং স্টেশনের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের তেল বাবদ বকেয়া ২০ লাখ টাকার বেশি। এই কারণেই পাম্প কর্তৃপক্ষ মে মাসের ৫ তারিখ থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।  

মধুখালীর বাগাট এলাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান নামে রোগীর এক স্বজন জানান,“জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলে স্বল্প খরচে রোগীকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে ভাড়া দিতে হয় অনেক বেশি। তাছাড়া জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনের সময় পথে কোনো সমস্যা হলে তার সমাধানের ব্যবস্থা অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই রয়েছে। এই সুবিধা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া যায় না। ”

হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি জোহরা বেগমের স্বামী ইব্রাহিম ব্যাপারী জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় এক হাজার টাকার জায়গায় আমাদের প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে গুণতে হয়েছে দুই হাজার টাকা।  

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) গণেশ চন্দ্র আগরওয়ালা জানান, “দু‘টি অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বিল বকেয়া থাকায় চালু করা যাচ্ছে না”, তবে বিশেষ ব্যবস্থায় খুব জরুরি হলে আমরা বিকল্প উপায়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করি ”।  

ফরিদপুর কোমরপুর ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. কাওসার হোসেন জানান,“চুক্তির ভিত্তিতে এই পাম্প থেকে জেনারেল হাসপাতালের দু’টি অ্যাম্বুলেন্সে তেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু নিয়মিত টাকা না পাওয়ায় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাকি পড়েছে। এত টাকা বাকি বহন করা আর সম্ভব না হওয়ায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে”।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ কুমার বিশ্বাস দীর্ঘ দিন অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকার বিষয়ে বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সের বার্ষিক খরচের ৬০ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে আয় করার কথা। চলতি বছর এই কোটা পূরণ করা যায়নি। তাই পাম্পে টাকা আটকে গেছে। এ জন্য অ্যাম্বুলেন্স দু’টির সেবা বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে জরুরিভাবে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে”।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
আরকেবি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।