ঢাকা: ইফতার তৈরি ও পরিবেশনে অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে নিরাপদ খাবার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির জোট বাংলাদেশ ফুড সেফটি নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন)। এ প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, কীভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার তৈরি হচ্ছে, পরিবেশন হচ্ছে, তৈরি হওয়া ইফতারের ওপর জীবাণু নিয়ে মাছি উড়ছে ইত্যাদি।
এ প্রামাণ্যচিত্র তৈরির পর সোমবার (২০ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তৃতা করেন উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ও বিএফএসএন’র সভাপতি ফরিদা আক্তার, কনজুমারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া, রাজশাহী অঞ্চলের সাবেক প্রধান কৃষি গবেষক কৃষিবিদ মোহাম্মাদ আব্দুল মোমিন, বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড.এম এ সোবহান ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের হালাল ডেস্ক অফিসার ড. আবু সাদেক পাটোয়ারী।
এছাড়াও বি-সেইফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মহিদুল হক খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জাহিদুল রহমান।
প্রামাণ্যচিত্রের বিষয়ে বিএফএসএন’র সভাপতি ফরিদা আক্তার বলেন, রমজানে ঢাকায় বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখলাম, খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ইফতারগুলো বানানো হয়, যা একদমই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। চকবাজারে ইফতারের পরিবেশ খুবই অপরিচ্ছন্ন। অনেক জায়গায় রঙ মেশানো ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আনারস নিয়ে আসছে টাংগাইল-মধুপুর থেকে, সাইজে বড় করার জন্য সেখানে হরমোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে দেখা গেলো, বিটি বেগুন বিক্রি করা হচ্ছে, কিন্তু তাতে কোনো লেভেলিং নাই। জেনিটিক্যালি মডিফাই করা বেগুন মানুষ না জেনেই খাচ্ছে, যা ঠিক নয়। আমরা আসলে ব্যাপারটা দেখছি ভোক্তাদের দিক থেকে, তারা একটু সচেতন হোক। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ক্যাব, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, বি-সেফ ফাউন্ডেশন, উবিনীগ ও শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিএফএসএন জোট।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
এইচএ/