ঢাকা: আইসিডিডিআরবি’র (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের সংগঠন কর্মী মঙ্গল সংস্থা।
কর্তৃপক্ষের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আইসিডিডিআরবি’র কর্মী মঙ্গল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ গত সোমবার (২০ জুন) আমরণ অনশনে বসেন। এরপর থেকেই প্রশাসন তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
সংগঠনের অভিযোগ, আন্দোলনের কারণেই মলেক্যুলার ল্যাবের প্রধান হিসেবে ড. ফিরোজ আহমেদের চুক্তি ২ বছরের জন্যে নবায়নের কথা থাকলেও মাত্র ৬ মাসের নবায়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তার ল্যাবকে অন্য ল্যাবের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ফিরোজ আহমেদ যে ল্যাবের দায়িত্বে, সেটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে আন্দোলনরতদের দাবি, এ ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধীরে ধীরে উন্নতি করছে।
২০১৫ সাল থেকেই কর্মী মঙ্গল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ সিওও-কে অপসারণের প্রতিবাদ, ব্র্যাকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল ও জার্নাল বিক্রির বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের মুখে নমনীয় হয়। কিন্তু কৌশলগত অবস্থান নিয়ে ড. ফিরোজ রশীদকে ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
কর্মী মঙ্গল সংস্থার নেতারা জানান, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বুধবার (২২ জুন) থেকে কর্মী মঙ্গল সংস্থার প্রায় ৫ হাজার সদস্যের কর্মবিরতি ও অনশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কর্তৃপক্ষ ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন এবং লিগ্যাল অ্যাকশনের ভয় দেখিয়ে সদস্যদের অফিসে আটকে রাখে। এমনকি অফিস ছুটির পরেও অনশনরত কর্মী মঙ্গল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে অন্য কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
এমএন/এএসআর