ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার রেজিস্ট্যান্স নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার রেজিস্ট্যান্স নেই পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি থেকে: বাংলাদেশে এখনো ম্যালেরিয়ার রেজিস্ট্যান্স (প্রতিরোধক) উৎপন্ন হয়নি। যদিও ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে এ রোগের রেজিস্ট্যান্স উৎপন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে রাঙামাটির পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ম্যালেরিয়া নির্মূলের ব্যাপারে গবেষণা চলছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আমরা গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনার লক্ষ্যে একসঙ্গে ৯০ জন করে এ পর্যন্ত ২৭০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি।

বিভিন্ন ধাপে মোট ২৮ দিন এসব রোগীকে মনিটরিং করা হয়। এ ধরনের একটি ট্রায়াল শেষ করতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগে। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এসব গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।  

তাছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের  ক্ষেত্রে রেজিস্ট্যান্সের বিষয়টিও গবেষণার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ মশারি দেওয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়া বাহক মশা প্রতিরোধে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ পদ্ধতিতে বাহক মশা প্রতিরোধে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এমনকি যে এলাকাগুলোতে ম্যালেরিয়া নেই সেখানেও পর্যবেক্ষণ চলছে।

এবার অনেক আগে থেকেই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম চালু হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আগে দেখা গেছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়লে কর্মসূচি নেওয়া হতো। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকোপ শুরুর আগেই এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবারও তা হয়েছে। এ কারণে এ রোগজনিত কারণে মৃত্যুহার শূন্যে আনা সম্ভব হয়েছে।

দেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই এসব এলাকায় ম্যালেরিয়া নির্মূলে অন্যান্য এলাকার তুলনায় বেশি কার্যক্রম নেওয়া হয়। রাঙামাটিতে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্যাম্প করে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া জেলাটি দূর্গম হওয়ায় যতোদূর স্বাস্থ্যকর্মীদের যাওয়া সম্ভব ততদূর পর্যন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

তাছাড়া সেনাবাহিনীর মেডিকেল ইউংয়ের সঙ্গে ব্র্যাক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযুক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সবাইকে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ওষুধ দেওয়ার কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যক্রমের এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মশিউর রহমান বিটুর সঞ্চালনায় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী, ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির বিশেষজ্ঞ মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম কে হাসান মোরশেদ, রাঙামাটির ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এন্ড্র বিশ্বাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এমএএম/ওএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।