ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মৌলভীবাজারে ৪ দিনে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
মৌলভীবাজারে ৪ দিনে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত 

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে চার দিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ১৫ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব রোগীদের মধ্যে প্রায় সবাই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক অবস্থায় গত শনিবার (২৭ জুলাই) ৯ জন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হলেও গত তিন দিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত আরও ছয় জন বেড়ে এর সংখ্যা দাঁদিয়েছে ১৫ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন চার জন।

এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে দুই জনকে। বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন নয় জন রোগী। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী ও তিনজন পুরুষ।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় সবাই ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ফিরেছেন। ১৫ জন রোগীর মধ্যে মাত্র দুইজন মৌলভীবাজারে অবস্থান করছিলেন। তাদের একজন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র আর অন্যজন শহরের বাসিন্দা।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য আশিকুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঢাকাতে একটি কাজে ছিলাম সেখান থেকে ক্যাম্পে ফিরে ডেঙ্গুর আলামত দেখতে পাই। আজ হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বর্ষিজোড়া এলাকার প্রিয়া রহমান। সেখান থেকে ফিরে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। একইভাবে ব্যবসার মালামাল কিনতে ঢাকা গিয়েছিলেন নিতেস্বর এলাকার মোজাহিদ ইসলাম। ডেঙ্গুর ভয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে ডেঙ্গু কর্নারে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে ঢাকা থেকে আগত ব্যক্তিদের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের স্থানীয়দের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয় দু’জন আক্রান্ত হয়েছে। শহরের বেরীরপাড় এলাকার সৈয়দ সলমান আলীর নয় বছরের মেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল, বর্তমানে সে সুস্থ।

সৈয়দ সলমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে মৌলভীবাজারেই ছিল। কিন্তু কিভাবে সে আক্রান্ত হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছি না।  

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, যারা মৌলভীবাজারের বাইরে থেকে আসছেন তাদের শরীরে যদি ডেঙ্গুর ভাইরাস থাকে আর সেই ব্যক্তিকে ফিমেল এডিস মশা কামড় দেয় এবং সেই মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে পুনরায় কামড় দেয় তাহলে তার শরীরে ডেঙ্গুর ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। সেক্ষেত্রে মৌলভীবাজারে স্থানীয়রা ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছেন।  

তবে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. শাহজান কবির চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্নার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।