ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যের ডিজিকে ডা. জাফরুল্লাহর চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
স্বাস্থ্যের ডিজিকে ডা. জাফরুল্লাহর চিঠি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার (৩১ আগস্ট) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলানিউজকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে করোনাসহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আরটিপিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টজ পালিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) পরীক্ষা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার চালুর অনুমোদনের বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে পরিচালক, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (০১৭১২৫০৯০০১) থেকে ফোনে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, আপনাদের অনুমোদন নেই এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার বন্ধ করবেন। কাজ চালু রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিপিসিআর ফর কোভিড-১৯ ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের জন্য আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবরে (সংযুক্ত - ১) জিআর কোভিড-১৯, আরটিপিসিআর পরীক্ষা ও প্লাজমা সেন্টার কার্যক্রম চালু করার জন্য ই-মেইলে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে ৩১ আগস্ট পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল (নিবন্ধন কোড: HSM67316), গণস্বাস্থ্য ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনোসটিক সেন্টার (নিবন্ধন কোড: HSM32496 ), গণস্বাস্থ্য ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার (নিবন্ধন কোড: HSM05039), লাইসেন্সের আবেদন আপনাদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) বিবেচনাধীন আছে।  

পরিচালক হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য জনস্বার্থবিরোধী ও অবিবেচনাপ্রসূত। ওনার বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুর্বলতা এরই মধ্যে আমি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে খোলা চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উদ্দেশে আরও বলা হয়, আশা করি আপনি অবগত আছেন যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’কে স্বাধীনতা উত্তরকালে ‘গণস্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নাম দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং ১৯৭৪ সালে সরাসরি নির্দেশ জারি করে ওই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রায় ৩১ একর জমি হুকুম দখল করিয়ে দিয়েছিলেন।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, গণস্বাস্থ্য ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গণস্বাস্থ্য ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, গণস্বাস্থ্য জনহিতকর দাতব্য ট্রাস্টের অধীন সম্পূর্ণ অলাভজনক সংগঠন। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ব্যাপক কার্যক্রম ও সফলতার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’ পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।  

গত ২৪ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল হিসেবে আমরা দেশ তথা পৃথিবীর বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত মহামারি অবস্থায় আমরা আমাদের হাসপাতালে দেশের প্রচলিত নিয়মে দক্ষ ও অভিজ্ঞ, উন্নতমানের যন্ত্রপাতির সহায়তায় স্বল্পমূল্যে কোভিড-১৯ এর জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার চালু করতে ইচ্ছুক।

আশা করি, আমরা আপনার কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা এবং দ্রুত অনুমোদন পাবো। আপনার সুবিধাজনক সময়ে আমাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনার সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
আরকেআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।