ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল সবার চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল সবার চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত সচিবালয়ে বক্তব্য রাখছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন

ঢাকা: নামে ‘সরকারি কর্মচারী’ হলেও ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটির সবার চিকিৎসা সেবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

রাজধানীর দুয়েকটি ছাড়া অন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে এ হাসপাতালের সেবার মান ও চিকিৎসা সেবা অনেক ভালো বলে দাবি করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে হাসপাতালটির কোভিড চিকিৎসার জন্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ৫শ’ এন৯৫ মাস্ক ও শ্বাসকষ্টে ভোগা কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য একটি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা হস্তান্তর করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সচিবালয়ের পাশেই সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটির অবস্থান। করোনা মহামারিতে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে একাধিকবার উৎসাহ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘অনেকের হয়তো ধারণা থাকতে পারে এটি কেবল সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তা কিন্তু নয়। আমরা নাম দিয়েছি সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, এখানে সরকারি কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে, অন্য ব্যক্তি ও সম্মানিত নাগরিকদের আমরা এখানে সেবা দেই না। সবার জন্য আমাদের হাসপাতালের দুয়ার খোলা। ’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি কর্মচারীদের চেয়েও বেশি অগ্রাধিকার দেই। সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটিকে অদূর ভবিষ্যতে চমৎকার ও গুণগত মান সম্পন্ন হাসপাতালে পরিণত করবো, সেই অঙ্গীকার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। ’

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটি ছিল ১৫০ বেডের। যখন কোভিড শুরু হলো, তখন এটিকে ৭২ বেডের হাসপাতালে পরিণত করলাম। এখানে কোনো সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট ছিল না। আমরা এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট করি। এখানে ছয়টি আইসিইউ রয়েছে। অন্য চাহিদাগুলোও আমরা পূরণের চেষ্টা করি। আমরা জনপ্রশাসন থেকে একটি পিসিআর মেশিন কিনি। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে টেকনিশিয়ান ও আরও কিছু লোকবল পাই। ’

হাসপাতালটির সেবা নিয়ে গর্ব করে তিনি বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, ঢাকা শহরে যতগুলো হাসপাতাল রয়েছে সরকারি বলেন আর বেসরকারি বলেন, দুয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া আমি মনে করি আমাদের সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো। দুয়েকজন ব্যক্তি যারা আমাদের এখানে চিকিৎসা পেয়েছেন, তারা বাইরে গিয়ে আমাদের এত প্রশংসা করেছেন। আমাদের চিকিৎসকরা মোটিভেটড। আমরা চিকিৎসকদের বলেছি আপনারা সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। তারা সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছেন। ’

তিনি বলেন, ‘এ হাসপাতালের খাবারের মান অন্য যেকোনো হাসপাতালের চেয়ে উন্নত। এটিকে ৫শ’ বেডের ১৬ তলা হাসপাতালে পরিণত করার জন্য একনেক অনুমোদন দিয়েছে। ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা। সেই কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের সবচেয়ে ভালো যে হাসপাতাল, ওই পর্যায়ে আমরা উন্নীত করতে চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।