ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

রাজশাহী বিভাগে কমছে করোনা সংক্রমণের হার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
রাজশাহী বিভাগে কমছে করোনা সংক্রমণের হার ...

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে আসছে। আগে নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের বেশি থাকলেও এখন সেটি কমে ১১ শতাংশে নেমেছে।

প্রতিদিন এই হার ওঠানামা করে। তবে ১১ শতাংশের বেশি এখন সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে না।  

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য  বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী বিভাগের ৫টি পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১০০ জন। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৩৭ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে করোনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত বিভাগে ৩০৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিভাগের বগুড়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।  

বিভাগে এ পর্যন্ত বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১৮৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া রাজশাহীতে ৪৪ জন, নওগাঁয় ২১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪ জন, নাটোরে ১০ জন, জয়পুরহাটে সাতজন, সিরাজগঞ্জে ১৩ জন এবং পাবনায় ১০ জন মারা গেছেন।

জানা যায়, রাজশাহী অঞ্চলে যেসব করোনা রোগী শনাক্ত হন তাদের বেশিরভাগই বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। প্রতিটি জেলাতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই বিভাগের ছয় জেলায়। শুধু বগুড়া ও রাজশাহীতে আইসিইউ আছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা প্রস্তুত। এই হাসপাতালে ২০৩টি শয্যা কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। রোগীর সংখ্যা যদি ভবিষ্যতে বাড়ে তাহলেও তারা সেবা দিতে পারবেন।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। আগে যেখানে হাসপাতালে সব সময় ৮০-৯০ জন করোনা রোগী থাকতেন, এখন সেটি কমে ৩০ থেকে ৩৫ জনে নেমে এসেছে। এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কারণে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, সংক্রমণ দিন দিন কমছে। শীতে কী হবে তা বলতে পারছি না। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, সংক্রমণ বাড়বে না। সাধারণ মানুষের প্রতি উপদেশ- অন্তত মাস্কটা ব্যবহার করতে হবে। তাহলে সংক্রমণ আরও কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
এসএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।