ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কুর্মিটোলায় শুধু গুরুতর রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
কুর্মিটোলায় শুধু গুরুতর রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে আইনমন্ত্রীর ডান পাশে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ বলেছেন, আমরা শুধু গুরুতর রোগীদের ভর্তি করছি। যাদের জীবন বাঁচানো দরকার, তাদের।

বাকিদের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জামিল আহমেদ বলেন, আগে আমরা মৃদু ও মাঝারি সিমটোমের রোগী ভর্তি করতাম। এখন আমরা এ ধরনের রোগীদের বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছি এবং বলে দিচ্ছি যতক্ষণ পর্যন্ত অক্সিজেনের চাহিদা তৈরি না হয় ততক্ষণ বাসাতেই চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে অনেক সিনিয়র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা মেডিক্যাল অফিসার না। গত এক বছর ধরে তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন। সুতরাং রোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট অবদান রাখছেন। তারাই ঠিক করছেন কাকে ভর্তি করতে হবে। আমরা শুধু গুরুতর রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভর্তি করছি। এছাড়াও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে টেলিমেডিসিন সেবাও দেওয়া হচ্ছে।

জামিল আহমেদ বলেন, করোনা ম্যানেজমেন্ট আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জের হয়ে গেছে। কারণ প্রত্যেকদিন সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার নতুন রোগী যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে যদি এক থেকে দুই শতাংশ রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় সেটাও সংখ্যায় অনেক। আমরা চেষ্টা করছি যারা অপেক্ষাকৃত স্টেবল তেমন কষ্ট নেই তাদের ডিসচার্জ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যদি অক্সিজেন ডিমান্ড না থাকে। সেই জায়গা ক্রিটিক্যাল রোগীদের ভর্তি করার চেষ্টা করছি। এখন আমরা সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছি লাইফসাইজ করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে করোনা হবে না এ কথা কোথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরে শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তখন কারো করোনা হলেও গুরুতর অসুস্থ হবেন না। এটুকুই বলা হয়েছে। এ টুকু নিশ্চয়তা দেওয়া যায় যে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর রোগের মাত্রাটা আগের চেয়ে কম্পারেটিভলি অনেক কম হবে। যতদিন পর্যন্ত করোনার অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্যবিধি (মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও হাত ধোয়া) মানতেই হবে। যতদিন পর্যন্ত এগুলো আমাদের অভ্যাসে পরিণত না হবে ততদিন পর্যন্ত করোনা আমাদের ছেড়ে যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।