ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

চাকরিপ্রার্থী ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জোড়া মিছিলে স্তব্ধ কলকাতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
চাকরিপ্রার্থী ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জোড়া মিছিলে স্তব্ধ কলকাতা

কলকাতা: চাকরিপ্রত্যাশী ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জোড়া মিছিলে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলের পর প্রায় থমকে যায় কলকাতা। যানজট তৈরি হয় মধ্য কলকাতায়।

সমস্যায় পড়েন বাড়ি ফেরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও নিত্য অফিসযাত্রীরা।

পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম সুপরিকল্পিতভাবে দুর্নীতির কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত নয়টি মঞ্চের প্রার্থীদের যৌথ উদ্যোগে একটি মহাজোট গঠন করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই নয়টি মঞ্চের মহাজোট শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত একটি মহামিছিল করে।  

মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন নয়টি মঞ্চের চাকরিপ্রত্যাশীদের মহাজোটসহ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে যুবসমাজসহ সব শুভবুদ্ধি-সম্পন্ন লোকজন। সোমবার বিকেলে ধীর গতিতে যান চলাচল করে এসপ্ল্যানেড লাগোয়া এসএন ব্যানার্জি রোড ও লেনিন সরণিতে।

বিকেলে চাকরির দাবিতে মিছিল করেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (টেট), স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি ও স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) চাকরিপ্রত্যাশীরা। নয়টি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের মহাজোটের কোর কমিটির নেতৃত্ব দেওয়া সুদীপ মন্ডলের দাবি, এটি ছিল মহামিছিল। একজোট হয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে নয়টি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে অতি দ্রুত সবস্তরের যোগ্য কর্মপ্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের সুব্যবস্থা করতে হবে।  

এদিন চাকরিপ্রত্যাশীরা অভিনব উপায়ে মিছিল করেন। কেউ মমতার মতো সাদা শাড়ি পরে, কেউ বা জীবন্ত লাশ সেজে মিছিলে নামেন। মুখ্যমন্ত্রী সেজেছিলেন চাকরিপ্রার্থী বিশাখা ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বহুবার চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। স্বচ্ছ নিয়োগ হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চাই। প্রয়োজনে অনশনে বসতেও দ্বিধা করব না। চাকরিপ্রত্যাশীরা এও দাবি করেন যে, একদিকে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, অন্যদিকে যোগ্য প্রার্থী এবং তাদের পরিবার বঞ্চিত হয়ে আছে ৮ বছর ধরে।

মিছিলটি মৌলালি এবং এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড পৌঁছায়। সেখানেই সড়কে বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সে সময় মধ্য কলকাতার একটি রোড পুরোপুরি বন্ধ রাখে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির গতি ছিল ধীর। তবে এদিন চাকরিপ্রত্যাশীদের মিছিলে পুলিশ গায়ের জোড় দেখায়নি।

দ্বিতীয় মিছিলটি করেন কলকাতার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গত ১২দিন ধরে অনশন চলেছে তাদের। পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে শামিল অভিভাবকেরাও।  

এদিন মেডিকেল কলেজ থেকে হিন্দ সিনেমা পর্যন্ত গিয়ে ফের মেডিক্যাল কলেজে মিছিল করে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে যোগ দেন চিকিৎসক বিনায়ক সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের চিকিৎসকেরা।  

ফলে জোড়া মিছিলে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র মধ্য কলকাতা একপ্রকার অচল হয়ে যায়। যার ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ গোটা কলকাতা একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।