ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

শান্তিনিকেতনে বসছে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
শান্তিনিকেতনে বসছে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবার স্থাপিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য। সোমবার(১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।

জানা যায়, শনিবার (১৩ জুলাই) এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বসানো হবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের মিউজিয়ামে। এ ব্যাপারে শনিবার বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের উপসচিব মো. সইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ভবনে এসেছিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ডেপুটি কিপার দিবাকর সিকদার, নাসির উদ্দিন আহমেদ খান ও জাদুঘরের ইঞ্জিনিয়ার ইমরান রহমান।

তারা বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক অরবিন্দ মণ্ডল এবং বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ভবনের সংস্কার ও পুনর্ববিন্যাসের কাজের অগ্রগতি নিয়ে রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়ামের কিউরেটর ড. প্রদীপ কুমার মন্ডল উপস্থিতিতেও আলোচনা হয়।

প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী উপাচার্যর হাতে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যসহ কিছু রিপ্লিকা তুলে দেন। যেগুলো আগামী দিনে বাংলাদেশ ভবনের প্রদর্শিত হবে। শিল্পী শ্যামল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু আবক্ষ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, বাঁশ কাঠ দিয়ে তৈরি আবহমান বাংলা নৌকা। একটি আত্মসমর্পণ টেবিল। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর নিকট পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আর্থ সমর্পণের সময় ব্যবহৃত টেবিলের রেপ্লিকা। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের রেপ্লিকা।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ভবনের সংস্কারের যে কাজ শুরু করেছে, তাতে বাংলাদেশের প্রতিনিধদল খুশি। এর আগে, বাংলাদেশ সরকারের টাকা দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বভারতীর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কিছুতেই বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি। কেন যে তিনি এই কাজে বাধা দিয়েছিলেন তা কোনোদিন তিনি জানাননি।

কেন কাজ হয়নি? এ বিষয়ে সাবেক উপাচার্য বিদ্যুৎ তার সময়কালের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলতে পারবেন বলে বারেবারে এড়িয়ে গেছেন। সেমসয় এ বিষয়ে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনও বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছিল। এর জেরে বিপদে পড়েছিলেন ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

তবে বিদ্যুৎ চলে যেতে নতুন উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক অরবিন্দ মণ্ডল বাংলাদেশ ভবনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বর্তমানেও একই দায়িত্বে আছেন। তিনিও গত শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে কেন তিনি সে সময় এড়িয়ে গেছেন, সে বিষয়ে সেদিন কোনো কথা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ মে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর করোনা মহামারী সময় থেকে জাদুঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কারের কাজ শেষ হলেই শীঘ্রই জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ফলে এখন দেখার বাংলাদেশ ভবনের কাজ কত দিনে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা,জুলাই ১৫,২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।