ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গের জোড়া মসজিদে ২২০০ বাংলাদেশি, স্বাগত জানাল ভারতীয়রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
পশ্চিমবঙ্গের জোড়া মসজিদে ২২০০ বাংলাদেশি, স্বাগত জানাল ভারতীয়রা

কলকাতা: সাইয়েদেনা জরত সৈয়দ শাহ মেহের আল কাদেরির ১২২তম উরস উপলক্ষে ২২০০ বাংলাদেশি গেছেন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনিপুরে জোড়া মসজিদে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী থেকে স্পেশাল ট্রেনে করে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় মেদিনীপুর স্টেশনে থামে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

 

ট্রেনটি দর্শনা -গেদে সীমান্ত পার হয়ে রানাঘাট, দমদম, খড়গপুর হয়ে মেদিনিপুরে থামে। এবারে আসা ২২০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১২৭৬ জন পুরুষ,  ৮৩০ জন নারী এবং ৫৯ জন শিশু।

স্টেশনে পৌঁছাতেই তাদের স্বাগত জানায় মেদিনিপুর পৌরসভা। পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্টেশনে তাদের অভ্যর্থনা জানায়। এরপর উরস উৎসব প্রাঙ্গণে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। উপস্থিত বাংলাদেশিরাও ভারতীয় রেলের এই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর এই উরস উৎসবে ভারতে যেতে পারেনি বাংলাদেশিরা।  

পৌরসভার তথ্য মতে, ট্রেনে চড়ে ২২০০ জন এলেও উরস উপলক্ষে এ মুহূর্তে ১০ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন মেদিনিপুরে জোড়া মসজিদের সামনে। উরসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে ৩ ফাল্গুন তথা ১৭ ফেব্রুযারি।  

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেদিনিপুর শহরে মিঞাবাজার এলাকাতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক উরস উৎসব৷ করোনার কারণে গত দুবছর এই উৎসবের বহর ছোটো হয়ে গিয়েছিল ৷ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই উৎসবের আয়োজন ফের বড়ো করে করা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উরস উৎসব হবে এবার।

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর শহরের মিঞাবাজার এলাকায় ৩ গম্বুজ যুক্ত জোড়া মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বাকের শাহ। পরবর্তীতে সৈয়দ শাহ মেহের আলী আল কাদেরির হাতে মসজিদটি অর্পণ করে দেন।

১৯০২ সাল থেকে এই উরস উৎসবে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেন আসে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছর সেই ট্রেনে চেপে আসেন এই পশ্চিবঙ্গের এই ঐতিহ্যশালী লৌকিক উৎসবে।  

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী থেকে এই উরসে আসেন বাংলাদেশিরা।

দুই বাংলার মুসলিমরা এখানে এসে জোড়া মসজিদে তাদের ধর্মীয় আচারগুলি প্রতিপালন করেন। গোটা মেদিনীপুর শহর ঘুরে বেড়ান। এখান থেকে তারা কিনে নিয়ে যান মাদুর, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি, কড়াই, গামলা, কম্বল, ব্যাগ, বড় বড় ব্যারেল ইত্যাদি।  

আর বিক্রি হয় মনসুরা, আঙ্গুরি মোরব্বা, আগ্রা মোরব্বা, আনারসা, মুসুর পাক, করাচী হালুয়া, স্পেশাল খোয়া বরফি, গাজর হালুয়া, সোহান হালুয়া, বোম্বে হালুয়া, মিহিদানা, তিলের নাড়ু, ক্ষীরের গজা, পাপড়ি ইত্যাদি। প্রায় কোটি রুপির বেচাকেনা চলে এই উরসকে কেন্দ্র করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।