কলকাতা: দীর্ঘ ১০ বছর পর ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট হচ্ছে। তিন ধাপের এ ভোটে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছিল দ্বিতীয় ধাপ।
এ ধাপে স্বতন্ত্র দলের হয়ে সর্বাধিক ১৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির ২৬, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাসহ ২০, বিজেপির ১৭, কংগ্রেসের ছয় প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে রয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৩৯ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ এ ধাপে।
এদিনের ভোট পর্যবেক্ষণে আসেন বিদেশি প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সোমালিয়া, পানামা, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নরওয়ে, রুয়ান্ডা, ফিলিপাইন, মেক্সিকো, সিঙ্গাপুর ও তানজানিয়ার প্রতিনিধিরা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সকালে ভোট শুরু হওয়ার আগেই গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্ত করতে সকল ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডলে মোদী লিখেছেন, এ উৎসবে নতুন প্রজন্মের যে ভোটাররা প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন, আমি তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
এদিকে, তৃতীয় ধাপের ভোটের আগে বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতের ইতিহাসে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। আবার কিছু রাজ্যকে ভাগ করা হয়েছিল। যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানা গঠিত হয়েছিল, বিহার থেকে ঝাড়খন্ড গঠিত হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড় তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো একটি রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। এটি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে। এটি আপনাদের জন্য অন্যায়। এটি করে আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজ জম্মু ও কাশ্মীর সেখানকার জনগণ চালায় না, এটা অন্য রাজ্যের লোকেরা চালায়। আমরা চাই আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য আপনাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ, যা ছিল আগের সাতটি নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটদানের শতকরা হার। জম্মু-কাশ্মীরের মোট ৯০ আসনের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ দফায় ভোট আগামী ১ অক্টোবর। ভোট নেওয়া হবে ৪০ আসনে। ফল আগামী ৮ অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ