ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশ-ভারত পরীক্ষামূলক কন্টেইনারবাহী ট্রেন চালু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
বাংলাদেশ-ভারত পরীক্ষামূলক কন্টেইনারবাহী ট্রেন চালু পরীক্ষামূলক মৈত্রী ট্রেনের যাত্রা/ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর মেলবন্ধন আরও দৃঢ় করতে শুরু হলো ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়। যাত্রীবাহী ননস্টপ মৈত্রী এক্সপ্রেসের পর এবার চালু হলো পণ্য আদান-প্রদানের কন্টেইনারবাহী ট্রেন।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) ছিল এই রেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা। এটাই হবে আগামী দিনে দু’দেশের নিত্যপণ্য আদান-প্রদানের প্রধান মাধ্যম।

পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ বগির কন্টেইনারবাহী রেলের এ যাত্রা শুরু হয় কলকাতার মাঝের হাট রেলস্টেশন থেকে। এটি বাংলাদেশে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য নিয়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাল, গম, ফল ও সবজি। সবুজ পতাকা দেখিয়ে এ যাত্রার শুভ সূচনা করেন ভারতের ইস্টার্ন রেলওয়ের সিজিএম রথীন্দ্র রামন, জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও ও কন্টেইনার কোম্পানি কনক্রোডের সিএমডি কল্যান রামা এবং মানসী ব্যানার্জি।

বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান হয় মালগাড়ির মাধ্যমে। যা ভারতে অংশে গেদে গিয়ে শেষ হয় ও পরে বাংলাদেশ সীমান্তের দর্শনায় নিয়ে যাওয়া হয় ভিন্ন উপায়ে। এটা ছিল অনেক সমস্যার। এর হ্যাপা পোহাতে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা। এবার কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান হবে কন্টেইনারবাহী রেলের মাধ্যমে।  

পরীক্ষামূলক মৈত্রী ট্রেনের যাত্রা/ছবি: বাংলানিউজ কেন কন্টেইনারবাহী ট্রেন? এর উত্তরে ভারতের ইস্টার্ন রেলওয়ের পাবলিক রিলেশন্স কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সাল থেকে বলে আসছিলো মালগাড়ি বাদে দু’দেশের পণ্য আদান-প্রদানে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের কথা ভাবা হোক। সে স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হলো। পরীক্ষামূলক সূচনা হলেও কয়েক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে চালু হবে এই সেবা। এতে দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি পণ্য আদান-প্রদান করা যাবে। অধিক পরিমাণে পণ্য আদান-প্রদানে লাভবান হবে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। এতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
 
তিনি জানান, মালগাড়িতে পণ্য আদান-প্রদান ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এতে মাল চুরি ও নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। মূল্যবান পণ্যও আনা-নেওয়া করা যেতো না। কন্টেইনারের সুবিধা হলো সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাবে-আসবে। যেহেতু ট্রেনটি ননস্টপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে সেহেতু কাঁচাপণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি কম থাকছে।  

কন্টেনারবাহী ট্রেন পুরোপুরিভাবে চালু হলে মালগাড়িগুলো জ্বালানি বস্তু বা সেই জাতীয় জিনিসেই শুধু ব্যবহার হবে। আর মূল্যবান বা অন্য পণ্য যাবে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের মাধ্যমে। মালগাড়ি বাদেও বাংলদেশ ও ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য আদান-প্রদান হয় বেনাপোল ও হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে। যাত্রী ও পণ্য একই সীমান্ত দিয়ে পারাপার হয়। ফলে সেই সীমান্ত দু’টিতেও অনেক চাপে সমস্যা হতো দু’দেশের মধ্যে। ভিন্নপথে ব্যবসায়িক কাজ হলে আগামীতে সমস্যা কমবে। লাভবান হবে দুই দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
ভিএস/এএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।