ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ছুটির দিনের বিরূপ আবহাওয়ায় হতাশ কলকাতাবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
ছুটির দিনের বিরূপ আবহাওয়ায় হতাশ কলকাতাবাসী কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টি/ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: মিয়ানমার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে এ ঘূর্ণিঝড় থেকে রাজ্যে বড় কোনো বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ এটির অভিমুখ উড়িষ্যা উপকূলের দিকে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে।  

আবহাওয়া অফিসের খবর মতে, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বর্ধমান জেলায় বৃষ্টির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি হবে।

এ জেলাগুলির কোথাও কোথাও শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কলকাতাসহ অন্যান্য এলাকায় মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে আশুরা উপলক্ষে কলকাতায় সেভাবে তাজিয়া মিছিল শুরু করতে পারেনি ইসলাম ধর্মাম্বলীরা।
 
এদিকে শুক্রবার আশুরার ও শনি-রোবসহ তিন দিন ছুটি থাকায় বেড়াতেও বেরিয়েছেন কলকাতাবাসী। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমুদ্রসহ উপকূলবর্তী এলাকায় পযর্টকদের সমুদ্রে না নামার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে জোরালো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
 
নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে ভ্যাপসা গরম থেকে বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রাজ্যবাসী। অক্টোবর-নভেম্বর সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। সেপ্টেম্বরে কখনও কখনও ঘূর্ণিঝড় হলেও তা খুব একটা শক্তিশালী হয় না। বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়েছে, সেটিও খুব একটা শক্তিশালী নয়। অক্টোবর মাসে বর্ষা বিদায়ের পরে এবং বর্ষার আগমনের আগে এপ্রিল-মে বঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
 
বর্তমানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইতে পারে এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এমনই জানিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া অফিস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
ভিএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।