প্রতিবারের মতো এবারও চড়া বাজার। এমনিতেই দুর্গাপূজার পর পকেট চাপে থাকে।
লক্ষ্মীপূজায় ভোগে ফুলকপির চাহিদা বাড়ে। বড় সাইজের যে ফুলকপি দু’দিন আগেও ৪০ রুপিতে মিলছিল, তা এদিন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ রুপিতে। বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ রুপি কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। ভোগের খিচুড়িতে অন্যতম উপাদান কড়াইশুঁটি। শীত না এলেও বিভিন্ন বাজারে অল্প হলেও কড়াইশুঁটি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দাম তার বেশি। কড়াইশুঁটি পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২০০ রুপি। খুচরো বাজারে তা ২৫০ রুপি।
লক্ষ্মীপূজায় লুচির সঙ্গে বেগুনভাজা খাওয়ার চল আছে বাঙালি বাড়িতে। বেগুনের এত দাম যে, হাত দেওয়া যাচ্ছে না। বড় সাইজের বেগুন একশো রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো এখন আসছে অন্য রাজ্য থেকে। এদিন টমেটো কেজি ৮০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে।
অনেকের বাড়িতে লক্ষ্মীপূজায় ইলিশ মাছ ঢোকে। সে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৮শ রুপিতে। তবে বাজারে সেভাবে বাংলাদেশের ইলিশ দেখা গেলো না। যে ইলিশকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে তাতেও ক্রেতাদের সন্দেহ আছে। ক্রেতাদের মতে কী করে বুঝবো এগুলো বাংলাদেশি ইলিশ। দেখতে এক হলেও স্বাদে তফাৎ থাকে। কিনে ঠকবো নাকি! এদিন বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ খেকে ১২শ রুপিতে। তবে, একদিকে বেঁচে গেছেন সবাই! এ পূজায় পেঁয়াজের প্রয়োজন হয় না। পেঁয়াজ এখন ৬০ থেকে ৭০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পূজায় ফলের চাহিদা বেশ বেশিই থাকে। শশা, পানিফল, শাঁকালু, আপেল, বেদানা, নাসপতি, পেয়ারা, পানিফল, আঙুর, মুসাম্বি এ ফলগুলোর দাম একলাফে বেড়েছে অনেকটা। এছাড়া এ পূজার মূল উপাদান নারিকেল নাড়ু। বড় সাইজের নারিকেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বাঙালি। নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ রুপিতে।
এবছর রোববার সারাদিনই পূর্ণিমা। সে কারণে দিনভর ভক্তরা পূজা করতে পারবেন কোজাগরী লক্ষ্মীর। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার আয়োজন হয় সন্ধ্যায়। আর সে কারণেই পশ্চিমবাংলার বাড়ি বাড়ি চলছে লক্ষ্মীপূজার আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। পরিবারের মঙ্গলকামনা এবং ধন লাভের অনুরোধ জানাতে সন্ধ্যার পর থেকে করজোড়ে বাঙালিরা বসবেন লক্ষ্মী প্রতিমার সামনে। এরমধ্যে অনেকের দুঃখ রোববার বলে মার খেয়ে গেলো লক্ষ্মীপূজার ছুটিটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি