ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩: বাংলাদেশ পর্বের ৬ বিজয়ীর নাম ঘোষণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩: বাংলাদেশ পর্বের ৬ বিজয়ীর নাম ঘোষণা

ঢাকা: হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩’ এর ছয়জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আইসিটি খাত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও প্রশিক্ষণের
জন্য আগামী মাসে চীনে যাবেন বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।

শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে ১০ম বারের মতো সিডস ফর দ্য ফিউচারের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। ছয় শতাধিক প্রতিযোগী এ আয়োজনে অংশ নেন।  

প্রতিযোগীদের প্রোফাইলের ওপর নির্ভর করে ২০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আইসিটির (তথ্য প্রযুক্তি) শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজের বৃহত্তর উন্নয়ন কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, সে বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন ও সাক্ষাৎকার দেন। কনসেপ্ট ও উপস্থাপনার দক্ষতা বিবেচনায় নিয়ে ছয়জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করে হুয়াওয়ে।

এ বছরের বিজয়ীরা হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির ইইই বিভাগের আল মুমতাহিনা এরিকা, বুয়েটের এমই বিভাগের ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অর্পণ সাহা, রুয়েটের সিএসই বিভাগের মায়িশা ফারজানা ও আইইউটির সিএসই বিভাগের সাজিদ আহমদ চৌধুরী।  

বিজয়ীরা চীনের শেনঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ে সদর দপ্তর পরিদর্শন ও সাংহাইয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেংয়ের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এবারের গালা ইভেন্টের আয়োজন শুরু হয়। ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর সং ইয়াং। আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির (আইইউটি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। গালা ইভেন্টে সিডস ফর দ্য ফিউচারের সার্বিক দিক ও এ বছরের সেরা প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনগুলো তুলে ধরা হয়।  

সিডস ফর দ্য ফিউচার উদ্যোগের বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে হুয়াওয়ে। এক্ষেত্রে আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সিডস ফর দ্য ফিউচার উদ্যোগের মতো ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে, যেন সঠিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণরা আগামীর বিশ্বের জন্য নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে ও দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর সং ইয়াং বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমি সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের ছয়জন বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ ও চীনের কৌশলগত সহযোগিতা আগামীতেও একই ভাবে বজায় থাকবে বলে আমি আশাবাদী। হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে কাজ করছে, তারা এ সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ভূমিকা রাখবে।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির (আইইউটি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, হুয়াওয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এ রকম ধারণার বিকাশ ও উদ্ভাবনী প্রোগ্রাম আয়োজনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও চিন্তা করা উচিত।  

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। গত ১৫ বছর ধরে ডিজিটাল প্রতিভার বিকাশে অবদান রাখছে এ উদ্যোগ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এ উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছেন। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আইসিটি ইকোসিস্টেমের অংশ হতে সহায়তা করছে। এ ধরনের উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। একই সঙ্গে দেশের তরুণদের জন্য দক্ষতা বাড়ানোর এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।