ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন পেয়েছে ‘জেবিআরএটিআরসি’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন পেয়েছে  ‘জেবিআরএটিআরসি’

ঢাকা: বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ অপার সম্ভাবনাময় হলেও এখনো অনেকটাই অব্যবহৃত। এই সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপান-বাংলাদেশ রোবোটিক্স অ্যান্ড অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার  (জেবিআরএটিআরসি) একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

 

মূল প্রকল্পটির নাম ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’, যা বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর অধীনে ‘ডেভেলপমেন্ট অব আইওটি-বেসড স্মার্ট মেরিকালচার টেকনিক ফর দ্য সাসটেইনেবল ইউটিলাইজেশন অফ ব্লু ইকোনমি’ নামের জেবিআরএটিআরসি’র (JBRATRC) উপ-প্রকল্পটি অর্থায়ন পেয়েছে।

এই প্রকল্পের প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টারা হলেন তিন তরুণ গবেষক- জেবিআরএটিআরসি-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফারহান ফেরদৌস,  জেবিআরএটিআরসি’র  উপদেষ্টা ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুদ রানা এবং জেবিআরএটিআরসি’র ডেপুটি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার শাকিক মাহমুদ ।

এ বিষয়ে জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফারহান ফেরদৌস বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর গবেষণা ও চাষাবাদের উন্নয়নে অনেক প্রচেষ্টা চললেও তা এখনো পর্যাপ্ত গতি পায়নি। এই উপ-প্রকল্পটি আইওটি, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিগুলির সমন্বয়ে মাছ চাষের পদ্ধতি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো এবং পরিবেশগত টেকসইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে চলছে। ’ 

প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (পিআই) মো. মাসুদ রানা ও প্রকল্পটির অন্যতম গবেষক (কো-পিআই) ইঞ্জিনিয়ার শাকিক মাহমুদ উল্লেখ করেন, প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটিভিত্তিক একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম তৈরি করা, যা মাছের স্বাস্থ্য ও আচরণ মনিটর করার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারবে। এই সিস্টেম বাংলাদেশের সমুদ্রজ উৎপাদন বৃদ্ধি, স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনমান উন্নতির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চল তথা দেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে যা আমাদের ব্লু ইকোনোমিকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করবে। ’

উপকূলীয় মৎস্য চাষ ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারে এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মান এবং টেকসই প্রমাণ নিশ্চিত করতে পারবে, যা দেশকে অন্যতম রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।