ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ‘চা স্ক্রিপ্ট’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪
বাংলা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ‘চা স্ক্রিপ্ট’ ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের দুই ব্যক্তিত্ব ড. আ মু জহুরুল হক ও ড. আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন স্মরণে স্মারক বক্তৃতামালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। ২৮ নভেম্বর ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে আয়োজিত এই স্মারক বক্তৃতামালায় আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মের সামনে বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।



অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ তার বক্তৃতায় শিশু কিশোরদের জন্য প্রোগ্রামিং-এর জগৎ তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্পূর্ণ বাংলাভাষায় একটি প্রোগ্রামিং স্ক্রিপ্টিং ভাষা চালু করেছেন বলে জানান। "চা স্ক্রিপ্ট" নামের এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে সাধারণ বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং-এ নির্দেশনা ও প্রোগ্রাম লেখা যায়। এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেও দেখান তিনি।

এছাড়া 'কোডিং' নামে একটি কম্পিউটার গেমস দেখানো হয় যেটি তৈরি করেছে তার শিক্ষার্থীরা। জানানো হয় যে এই সিস্টেমের মাধ্যমে যে কোনো শিশু প্রোগ্রামিং ভাষা না জেনেই প্রোগ্রামিং-এর আনন্দ নিতে পারবে।

নোভা আহমেদ বলেন, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল কাজের পরিমাণ বহুগুন বেড়ে যাবে। যে কারণে মুখস্ত নির্ভর পদ্ধতি থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইন্টারেকটিভ সিস্টেমে শিক্ষিত করে তোলা দরকার। তিনি বলেন 'কোডিং' শিশুদের মধ্যে লজিকের ভাবনাগুলোকে সংহত করবে। অন্যদিকে, চা-স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং-এর সূচনা করতে পারবে বলে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতে প্রোগ্রামার হওয়ার সুযোগ পাবে।

বক্তৃতামালার অপর বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। ডা. চক্রবর্তী তার "জেনেটিক্সের ওপারে" শীর্ষক বক্তৃতায় এপিজেনেটিক্সের সাম্প্রতিক প্রবণতা এবং বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরেন এবং দেশে এ বিষয় নিয়ে গবেষণার বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও জানান।

প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. চক্রবর্তী জানান পরীক্ষাগারের অংশ ছাড়াও এই গবেষণার তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক অংশ রয়েছে যা তারা বাংলাদেশেই করছেন। কাজেই দেশে বিশ্বমানের গবেষণা সম্ভব নয় বলে যারা ভাবেন সেই ধারণা সত্য নয়।

বক্তৃতামালার শুরুতে বিজ্ঞান ব্যক্তিত্ব জহুরুল হক ও আবদুল্লাহ আল-মুতীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন আহসানিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউল হক। সভাপতির বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ আর খান।

৫ম বারের মত আযোজিত এই বার্ষিক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি সহ-সভাপতি মুনির হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।