ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফ্রি ইন্টারনেটের প্রতিযোগিতা!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
ফ্রি ইন্টারনেটের প্রতিযোগিতা!

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে যত আসছে, ততই বাড়ছে ফ্রি ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার প্রতিযোগিতা।

জনপ্রিয় সামাজিক সাইট ‘ফেসবুক’, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘আউটারনেট’সহ আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ফ্রি দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।



ইতোমধ্যে, বিশ্বের ১০০টি দেশে ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও টেলিকম অপারেটর রবির সঙ্গে ফ্রি ইন্টারনেটের ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে করে সরকারি ওয়েবসাইটসহ ২৫টি ওয়েবসাইট ফ্রি ব্রাউজ করা যাবে।

ফেসবুক (Facebook):
১১ মে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি লেখেন- আমরা বাংলাদেশে ইন্টারনেট.ওআরজি রবি নেটওয়ার্কে চালু করেছি। বাংলাদেশে ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। এদের মাত্র ১০ শতাংশ ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত।

তিনি বলেন, গবেষণা জানাচ্ছে, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতি ১০ জনের একজন নিজেকে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণ ঘটাতে পেরেছেন। কারণ, ইন্টারনেট তাদের চাকরি, পড়াশুনার সুযোগ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য পেতে সহায়তা করেছে।

জুকারবার্গ বলেন, বাংলাদেশের ১০ মিলিয়ন জনগণসহ বিশ্বের শত মিলিয়ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের সুযোগ তৈরি হয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে।

নিচের ছবিতে জয়িতা নামে বাংলাদেশের একজন ফটোসাংবাদিককে দেখা যাচ্ছে। তিনি তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার দৈনন্দিন কাজ এবং নিউজ অ্যাসাইমেন্ট জানতে পারছেন।

এটি সম্ভব হয়েছে, মোবাইলফোনে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে বলে জানান জুকারবার্গ।   

আউটারনেট (Outernet):
এদিকে, আউটারনেট (Outernet) নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থা লো-অরবিট আর্থ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ‘পৃথিবীর সবার জন্য ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট’-এর  ব্যবস্থা করেছে।

তারা নিজেদেরকে অভিহিত করেছে- ‘মানবতার জন্য সাধারণ পাঠাগার’ (Humanity’s Public Library) হিসেবে। ১৯৫৫ সালে সাসা ভুসিনকি ও স্টুয়ার্ট আওয়ারবাখ অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা বর্তমানে ‘মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (এমডিআইএফ)’-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ডাটা ব্রডকাস্ট করছে।

২০১৪ সালে ‘আউটারনেট’ উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষের কাছে ফ্রি ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট চালু করে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে তারা সারা বিশ্বে ফ্রি ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

বর্তমানে তারা প্রতিদিন উচ্চগতির ২০০ মেগাবাইট ডাটা সরবরাহ করছে এবং পরে ১ গিগাবাইট ডাটা সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটির লক্ষ্য প্রতিদিন ইন্টারনেট গ্রাহককে ১০০ গিগাবাইট ডাটা সরবরাহ করা।

এমডিআইএফ প্রাথমিক পর্যায়ে ইন্টারনেট-গ্রাহককে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সংবাদ, খাদ্যশস্যের দাম, টিচার্স উইথআউট বর্ডারস, জরুরি যোগাযোগ, ইউকিপিডিয়া এবং চলচ্চিত্র, গান এবং অনলাইন গেমের ব্যবস্থা চালু করেছে।

আউটারনেট সম্প্রতি ল্যানটার্ন (Lantern) নামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মডেম উদ্ভাবন করেছে। এটি ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময় যে কেউ দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সোলার পাওয়ার চালিত এবং ল্যানটার্ন-এর সাহায্যে মোবাইল ফোনও চার্জ করা যাবে। এটি এদিকে ওয়াইফাই হটস্পট ও বহনযোগ্য মোবাইলফোন চার্জার হিসেবে কাজ করবে।
 
এই মোবাইল ডিভাইস ‘লানটার্ন’ ইন্টারনেট গ্রাহকদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে নাকি বিক্রি করা হবে, বিক্রি করা হলে কত মূল্যে তা বিক্রি করা হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

বিস্তারিত জানতে https://www.outernet.is/en/ এবং https://www.getlantern.org/ সাইটে লগইন করতে পারেন।

ল্যানটার্ন সম্পর্কে জানতে লগইন করুন- https://www.indiegogo.com/projects/lantern-one-device-free-data-from-space-forever/x/10813233#_=_

https://www.youtube.com/watch?v=ammanyLM_ko

নেটজিরো.নেট (netzero.net):
বাংলাদেশের অনেকেই এখন নেটজিরো অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে জানতে  লগইন করুন- http://www.netzero.net/



বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।