ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৬ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৪৩৪০ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১১
৬ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৪৩৪০ কোটি টাকা

ঢাকা: গ্রামীণফোন লিমিটেড ২০১১ সালের প্রথম ছয় মাসে আয় করেছে ৪৩৪০ কোটি টাকা।   ২০১০ সালের একই সময়ের তুলনায় এই আয় ২১ শতাংশ বেশি।

 

২০১০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের মোট আয় হয়েছে ২২৭৩ কোটি টাকা।

মূলত গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ভয়েস ট্রাফিক থেকে আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণফোণ ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট বিক্রি থেকে অর্জিত আয়ের কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের সিইও টোরে জনসন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রাহক ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণফোন বছরের প্রথমার্ধে চমৎকার ব্যবসায়িক সাফল্য প্রদর্শন করেছে। গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের দিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের পছন্দের টেলিফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে।

নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে চলতি বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোন ৫৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ফলে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬,৩৪৮ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন এ পর্যন্ত তার আয়ের ৮০ ভাগ পুনরায় বিনিয়োগ করেছে।  

এদিকে দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন ২০১১ সালের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৩৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কোম্পানির অবদান দাঁড়িয়েছে ২০,৮৪৬ কোটি টাকায়। এ বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোন কর্পোরেট কর বাবদ দিয়েছে ৬১৮ কোটি টাকা, যা ২০১০ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৫০ কোটি টাকা বেশি।

গ্রামীণফোন খুচরা বিক্রি ও বিতরণ চ্যানেলের অধিকতর সম্প্রসারণ করে দুই লাখ ৬৪ হাজার বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে যোগ হওয়া প্রায় ৩৯ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ, যা দেশের মোট গ্রাহকের ৪৪.৩ শতাংশ।

আয়কর প্রদানের পর ২০১০ সালের প্রথমার্ধের শতকরা ১৩.৫ ভাগ মার্জিনসহ ৪৮৩ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে শতকরা ১৫.৬ ভাগ মার্জিনসহ ৬৭৭ কোটি টাকা।

২০১১ সালের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি আয় ৫.০১ টাকা, যা ২০১০ সালের একই সময় ছিল ৩.৫৮ কোটি টাকা। ২০১০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.৮৯ টাকা, যা আগের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ১.২৪ কোটি টাকা।

২০১১-১২ সালের বাজেটে সরকার সিম ট্যাক্স ৮০০ টাকা থেকে হ্রাস করে ৬০৫ টাকা করেছেন। সরকারের এই উদ্যোগকে গ্রামীণের সিইও দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে বলেন, এতে করে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রবৃদ্ধি আরো গতিশীল হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ সুগম হবে।

গ্রামীণফোনের সিইও মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আশা করি যে সব অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালায় টেলিযোগাযোগ শিল্পবান্ধব সংশোধনী আনা হবে।

গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার রাইহান শামসি জানান, প্রধানত আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সময়ে অধিকতর মুনাফা হয়েছে। তবে সিম ট্যাক্স বাবদ ৩৭৫ কোটি টাকা ভর্তুকি, বৈদেশিক মূদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে ৫৭ কোটি টাকা ক্ষতি এবং অধিক আয়কর না হলে মুনাফা আরো বৃদ্ধি পেত।

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন কাজী মনিরুল কবির, হেড অব রিপোর্টিং আরিফ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘন্টা, জুলাই ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।