ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় বাড়লো

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় বাড়লো শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতা

দেশের তরুণ প্রজন্মকে মোবাইলভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করে বিশ্বের বিলিয়ন ডলারের বাজারে প্রবেশে উৎসাহ ও সহায়তা দিতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ২০১৭’।
 

আইসিটি বিভাগ ও ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডের যৌথ এ আয়োজনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়েছে। তাই নির্ধারিত নতুন সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে http://appaward.ictd.gov.bd/ এই লিংকে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও মনোনয়ন জমা দিতে হবে।

প্রতিযোগিতায় যেকোনো ধরণের মোবাইলভিত্তিক (এসএমএস, আইভিআর, অ্যাপ্লিকেশন, গেইম) প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করা যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের তরুণ-তরুণীদের মেধা ও মননকে পৃষ্ঠপোষণা ও সহযোগিতা করার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তাই দেশ সেরা মোবাইলভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে দিতে আইসিটি বিভাগ দ্বিতীয়বারের মত আয়োজন করছে জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ২০১৭। আমি আমাদের মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে এই আয়োজনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমে তাদের মেধা বিকাশে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।

জিডিজি বাংলার সহ-ব্যবস্থাপক রাহিতুল ইসলাম বলেন, আমাদের জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ২০১৭’ মনোনায়ন জমার শেষ সময় ছিলো ১৫ মার্চ।

কিন্তু আগ্রহী অনেক শিক্ষাথীর অনুরোধে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২ শতাধিক মনোনায়ন জমা পড়েছে। যেহেতু সময় বাড়ানো হয়েছে তাই আরো ৩ শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়বে বলে আশা করছি।

এবার মোট ৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী অক্টোবরে এই আট ক্যাটাগরি থেকে আটজন বিজয়ী নির্বাচন করা হবে এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড মোবাইল পুরস্কারের গ্লোবাল প্রতিযোগিতার জন্য তাদের মনোনীত করা হবে।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার সহযোগি গুগল ডেভেলপার গ্রুপ সোনারগাঁও এবং জিডিজি বাংলা।

দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি সেরা মোবাইল কনটেন্ট ও উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের প্রাপ্য স্বীকৃতি প্রদানই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখায় ২০০৩ সাল থেকে অস্ট্রিয়াভিত্তিক সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও সংগঠনকে সন্মানসূচক এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।

ইতালি, ব্রাজিল, তুরস্ক, ভারত, অস্ট্রিয়া, বাহারাইন, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ইজিপ্ট, জার্মানি, বাংলাদেশ, গুয়েতেমালা, কেনিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, কুয়েতসহ বিশ্বের ৫০ দেশের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব রয়েছেন এই অ্যাওয়ার্ডের জুরি বোর্ডে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।