স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,পার্বত্য এলাকার উপজাতি পল্লীগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ব্যবহারকারী উপজাতি ও বাঙ্গালিদের প্রতিদিন কোন না কোন দোকানে গিয়ে এভাবে ৫/১০ টাকা দিয়ে মোবাইল চার্জ দিতে হয়। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ না থাকায় পাহাড়ি/ বাঙ্গালিদের কথা মাথায় রেখে বিকল্প হিসেব আইপিএস এর ব্যবস্থা রেখেছে দোকানিরা।
গুইমারা বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সজিবের সাথে কথা হয় এ ব্যাপারে। তিনি জানান,পার্বত্য এলাকার আরো অনেক হাট বাজারে চলছে এ ব্যবসা। এ ব্যবসা করে সংসারের চাকাও ঘোরাচ্ছেন অনেক বেকার যুবক। প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেইসব এলাকায় বিকল্প হিসেবে সোলার কিংবা বাজার থেকে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি চার্জ দিয়ে সেখান থেকে ডিসি চার্জারের মাধ্যমে মোবাইল চার্জ দিয়ে তা ব্যবহার করছে অধিকাংশ মানুষ। কথা হয় একই এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক আহসান উল্লাহর সাথে, তিনি জানান আজ থেকে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে তিনি দোকানে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবসা চালু করেন। প্রথমাবস্থায় প্রতি মোবাইল কমপ্লিট চার্জ ২ টাকা, পরে আইপিএস দিয়ে ৫ টাকা হারে নেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ১০০ টির মত মোবাইল ব্যাটারি তার দোকানে চার্জ দেওয়া হয়। এতে তার দৈনিক ৩ থেকে ৪শ’ টাকা বাড়তি আয় আসে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে তার ব্যবসা আগের থেকে জমজমাট। মাস শেষে তার বিদ্যুৎ বিল ৮শ থকে ১ হাজারের বেশি আসে না।
অংসা মারমা নামের আরেক আদিবাসী জানান, এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় যারা মোবাইল ব্যবহার করে তাদের মোবাইল চার্জ দিতে হলে দোকানে আসতে হয়। তিনি আরও জানান, ৫ টাকা বড় কথা নয়, মোবাইলটা তার দায়িত্বে চার্জে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ সেরে এসে তা আগের অবস্থায় পাওয়া যায় এটাই বড় কথা। এখানকার মানুষ মনে করেন, এটি শুধু ব্যবসাই নয়, এটি একটি বড় ধরণের সেবাও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
আরআই