যশোর, খুলনা, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও বরিশালসহ ১৬টি জেলা ও ৩টি উপজেলায় (সৈয়দপুর, সিংড়া ও আনোয়ারা) আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে বিজয়ী ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব।
৭ এপ্রিল ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় পর্যায়ের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর অধ্যাপাক মো. কায়কোবাদ ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও আরও অনেকে।
এই আয়োজন সম্পর্কে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রোগ্রামারদের এখন ব্যাপক চাহিদা। সারাবিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন যেভাবে হচ্ছে বাংলাদেশেও উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এরই একটি জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা।
টানা তৃতীয়বারের মতো সারাদেশে এই উৎসব অনুষ্ঠান শেষে ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় পর্ব। জাতীয় পর্যায়ের পর ধারাবাহিক নির্বাচনের মাধ্যমে ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশের সদস্যদের নির্বাচন করা হবে।
আয়োজনের সহযোগী বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, আগামীর দিনগুলোতে আমাদের অনেক প্রোগ্রামার দরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রোগ্রামার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং আমরা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এসজেডএম