মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির এ ব্যাপারে বলেন, বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে বাংলা ভাষা যুক্ত করেছি আমরা। বিশ্বের সব মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা অর্জনের জন্য পাশাপাশি ভাষার বৈচিত্র্যতা যেনো বিশ্বব্যাপী একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করে সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
আরো বলেন, প্ল্যাটফর্মটিতে বাংলা ভাষা যুক্ত করার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা বাংলাদেশর সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাবে। মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে সমর্থনযোগ্য ৬০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে, যেখান থেকে বাংলা ভাষায় লিখিতভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন বাংলা ভাষাভাষীরা।
সর্বোপরি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।
সনিয়া বশির বলেন, বিং-এর আউটলুক মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর, কর্টানা, এজ, শেয়ারপয়েন্ট ও ইয়ামারে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর ইতিমধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট কিংবা পিডিএফ ফাইলে অনুবাদ করতে চাইলে ‘ডকুমেন্ট ট্রান্সলেটর’ এর মাধ্যমে তা সহজে করা যাবে।
‘ডকুমেন্ট ট্রান্সলেটর’ একটি ওপেন-সোর্স বা মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন। মূলত ৬০টির বেশি ভাষা থেকে যে কোনো টেক্সট বা লিখিত ডকুমেন্ট বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা যাবে।
বিশ্বব্যাপী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগতভাবে মোবাইল ফার্স্ট-ক্লাউড ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে যুক্ত থাকা যায় এবং অনায়াসে পারস্পরিক যোগাযোগের সুবিধা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ পদক্ষেপ।
স্থানীয়রা, পর্যটক কিংবা পৃথিবীর যে কোনো মানুষ উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, কিন্ডল ও আইওএস ডিভাইসে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েবে গিয়ে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর লাইভ ফিচারের মাধ্যমে নয়টি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
এছাড়া গ্রাহক সেবা, ওয়েব লোকালাইজেশন বা স্থানীয়করণ, প্রশিক্ষণ বা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোসফটের ট্রান্সলেটর টেক্সট এপিআই যুক্ত করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এসজেডএম