ভারতের দিল্লিতে প্রেমিকাকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমিকাকে হত্যার পর তিনি বিয়ে করতে চলে যান।
৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যবর্তী রাতে এ ঘটনা ঘটান তিনি। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি তার (প্রেমিক) বিয়ে ছিল। খবর: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম সাহিল গেহলট (২৪)। দিল্লির নজফগঢ়ের মিত্রাও গ্রামের বাসিন্দা তিনি। আর নিহতের নাম নিক্কি যাদব (২২)।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিক্কিকে একটি গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মিত্রান গ্রামের উপকণ্ঠে নিজের রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে লাশ লুকিয়ে রাখেন সাহিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রেস্টুরেন্টের ফ্রিজের ভেতর ওই নারীর মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, সাহিল ও নিক্কির মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সাহিলের সঙ্গে ২০১৮ সালে হরিয়ানার ঝাজ্জারের বাসিন্দা নিক্কির প্রথম দেখা হয়। পরে তারা একই কলেজে ভর্তি হয়। তারা দিল্লির গ্রেটার নয়ডা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। করোনা লকডাউন শুরু হলে তারা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। লকডাউন শেষ হওয়ার পরে তারা আবার দ্বারকা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
সাহিলের পরিবার তাকে অন্য কোথাও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ের তারিখও চূড়ান্ত করে তার (সাহিল) পরিবার। নিক্কি বিষয়টি জানতে পেরে সাহিলের মুখোমুখি হয় এবং এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাহিল তার গাড়িতে রাখা মোবাইল ফোনের ক্যাবল দিয়ে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ তার মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে রাখে। রেস্টুরেন্টটির মিত্রান গ্রামের উপকণ্ঠে একটি খালি প্লটে অবস্থিত।
হত্যা এবং লাশ গুম করেই তিনি তার নিজের বাড়িতে গিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
জেডএ