প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)-এর দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে ভারতের আয়কর বিভাগ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযান শেষ হয় বৃহস্পতিবার রাতে।
অভিযানকালে দুই অফিসে আটকা পড়েন বিবিসির প্রায় ১০ কর্মী। প্রায় তিন দিন অফিসে অবস্থান শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তারা বাড়ি ফেরেন। আটকে পড়াদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ সঞ্চালকও ছিলেন।
আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ এ তল্লাশির বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে আয়কর বিভাগ।
এদিকে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান শেষে বের হয়ে যাওয়ার পর বিবিসির পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়।
টুইটে লেখা হয়েছে, ‘আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অফিস থেকে বের হয়েছেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করে যাবো। আশা করছি দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। ’
এতে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমাদের কর্মী, যারা এতক্ষণ অফিসে ছিলেন বা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তাদের খেয়াল রাখা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আমরা ভারত ও এর বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের খবর পরিবেশন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’
টুইটে বলা হয়, ‘বিবিসি একটি বিশ্বস্ত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী ও সাংবাদিকদের পাশে আছি, যারা কিনা ভয় এবং পক্ষপাত ছাড়াই খবর পরিবেশন করেন। ’
মূলত করফাঁকি ও ট্রান্সফার প্রাইসিং সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই ভারতের বিবিসির দুই অফিসে অভিযান চালায় দেশটির আয়কর বিভাগ। সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, আয়কর কর্মকর্তারা বিবিসির অফিসে থাকা কম্পিউটার ও ল্যাপটপে ‘শেল কোম্পানি’, ‘ফান্ড ট্রান্সফার’, ‘ফরেন ট্রান্সফার’-এর মতো শব্দগুলো খুঁজেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচএস