২০০২ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রাজিলের বিভিন্ন স্কুলে কমপক্ষে ১৬টি হামলা বা সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে। ১৬টির মধ্যে চারটি ঘটেছে ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে।
ব্রাজিলিয়ান রিপোর্ট ও ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়ে, ব্রাজিলের স্কুলগুলোয় আশঙ্কাজনক হারে সহিংসতা বাড়ায় আদালত মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তের পেছনের মূল কারণ, অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে সরকার থেকে সহযোগিতা চাওয়া হলেও না পাওয়া।
খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলোয় ‘নব্য নাৎসি গ্রুপ’ জড়িত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে স্বস্তিক চিহ্নধারী এক ব্যক্তি এসপিরিতো সান্তো রাজ্যের ছোট্ট শহর আরাক্রুজের দুটি স্কুলে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। এ ঘটনার পরপরই সেখানে নব্য নাৎসিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসে।
এমনই একটি গ্রুপের সক্রিয়তা পর্যবেক্ষণের পর ব্রাজিল সরকার টেলিগ্রামের কাছ থেকে সহযোগিতা চায়। ওই গ্রুপটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়ার পর যথেষ্ট সহযোগিতা না করায় সাময়িকভাবে অ্যাপের ব্যবহার স্থগিত করতে গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) নির্দেশ দেন এসপিরিতো সান্তোর আদালত।
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার আগে গত ১৮ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নো ম্যানস ল্যান্ডের মতো বলে মন্তব্য করেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস। সামাজিক যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
এমজে