ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধারকাজ শেষ, রেললাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধারকাজ শেষ, রেললাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু

ওড়িশার বালেশ্বরে তিন ট্রেনের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। এখন সেখানকার রেললাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এ তথ্য জানিয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে এএনআই

খবরে বলা হয়, শনিবার (৩ জুন) বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেছেন, ওড়িশায় ট্রিপল ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৬১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। উদ্ধার অভিযানও শেষ হয়েছে। এখন রেল লাইন পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।

রেল কর্মকর্তাদের মতে, শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যার দুর্ঘটনার পর শনিবার বিকেল পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রায় ১৩০০। তবে স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্ঘটনায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় পত্র-পত্রিকাগুলো বলছে আহতের সংখ্যা আরও বেশি।

ঘটনাটি কেন ও কীভাবে ঘটলো সেটি জানতে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, আমরা এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করব।

খবরে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তার কলকাতা সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন। এখন তিনি দুর্ঘটনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিছু প্রযুক্তিগত কারণে ঘটনাটি ঘটে গেছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাস্থলে আসছেন।

জানা গেছে, ওড়িশা এসে মোদি ট্রেন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। এর আগে তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠক করেছেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, মোদির বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা গিয়ে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন; তারপর কটকের হাসপাতালে আহতের দেখতে যাবেন।

শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় তিন ট্রেনের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনগুলোর একটি শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস, অপরটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং অন্যটি মালবাহী ছিল।

কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি স্পষ্ট নয় এখনও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়, কয়েকটি বগি বিপরীত লাইনে আড়াআড়িভাবে পড়ে যায়। এ সময় হাওড়া থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস সেখানে পৌঁছায়। পরে সেটির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগিগুলোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। একই সিগনালে থাকা একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে এ ট্রেনটির ভূমিকা কি ছিল সেটিও নিশ্চিত নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।