ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার ৩ দিন পর ফের ট্রেন লাইনচ্যুত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার ৩ দিন পর ফের ট্রেন লাইনচ্যুত ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তিনদিন পর ফের একটি ব্যক্তিগত পণ্যবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।

তিন দিন আগে ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জন নিহত এবং ১০০০ জনের বেশি আহত হন।

সোমবার (৫ জুন) পণ্যবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় ওড়িশার বারগড়ে। তিনদিন আগে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার বালাসোরে। বালাসোর থেকে বারগড়ের দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার।

ভারতের গণমাধ্যম বলছে, এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ট্রেনটি ছিল ব্যক্তিগত মালামাল বহনকারী। এটি চুনাপাথরবোঝাই ছিল। ট্রেনটি লাইনচ্যুতের সঠিক কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

দেশটির পূর্ব উপকূলীয় রেল (ইসিওআর) স্পষ্ট জানিয়েছে, বারগড় জেলার মেন্ধাপালির কাছে কারখানা চত্বরের ভেতরে একটি সিমেন্ট কারখানার পণ্যবাহী ট্রেনের কয়েকটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ের কোনো ভূমিকা নেই। খবর ডেকান হেরাল্ড।

ইসিওআর বলেছে, এটি সম্পূর্ণভাবে একটি প্রাইভেট সিমেন্ট কোম্পানির মালামাল পরিবহনের বিষয়। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি তার নিজস্ব ইঞ্জিন, ওয়াগন, ট্রেন-ট্রাক রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

গত শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় তিন ট্রেনের ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন মারা যান। আহতের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।

শনিবার (৩ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়িশার বালাসোরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দুর্ঘটনার দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে সরকার তাদের পাশে আছে।  দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকার আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবে না। এটি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এর প্রতিটি দিক খতিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

ভারতের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৮১ সালে। যদিও সেটি ছিল প্রাকৃতিক কারণে। সেবার ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে বিহারের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন নদীতে পড়ে যায়। নিহত হয় ৮০০ প্রাণ। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে যত ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে শুক্রবারের ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন অনেকেই।  

সূত্র: জিও নিউজ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।