ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বন্যার আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
বন্যার আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা

রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের শহর নোভা কাখোভকা অঞ্চলের বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফাটল দিয়ে পানি প্রবাহ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবিত হয়ে গেছে।

সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

বুধবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নোভা কাখোভকায় বাঁধ ধ্বংসের পর ৮০টি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এর জন্য তিনি রাশিয়াকে দায়ী করেছেন।

বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গতকাল থেকেই ডিনিপ্রো নদীতে পানির স্তর বাড়ছে। বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে খেরসন শহর।

এদিকে বাঁধে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া। উল্টো তারা এর জন্য ইউক্রেন দায়ী করেছে।

তবে ইউক্রেন বা রাশিয়ার দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

নোভা কাখোভকা অঞ্চলের বাঁধটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি কৃষক ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে। এটি রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার দক্ষিণে পানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলও।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাঁধের ফাটল দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি শহর ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। নিচু অঞ্চলে থাকা মানুষ বাস ও ট্রেনে করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ইউক্রেনের একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টোরিয়া লিটভিনোভা বলেছেন, ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া দরকার। এদের মধ্যে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ১৭ হাজার জন ও রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব দিকে ২৫ হাজার জন।

এছাড়াও ইউক্রেনের টেলিভিশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৪টি বসতি প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।