ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হিমাচলে ভূমিধস মাংস খাওয়ার পরিণতি: আইআইটি পরিচালক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
হিমাচলে ভূমিধস মাংস খাওয়ার পরিণতি: আইআইটি পরিচালক

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), মান্ডির পরিচালক লক্ষ্মীধর বেহেরা বলেছেন, হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস এবং বাজ পড়ার কারণ ওই অঞ্চলের লোকেরা মাংস খায়।

বেহেরার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি অডিটোরিয়ামে ছাত্রদের ভালো মানুষ হওয়ার জন্য মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলতে শোনা যায়।

তিনি ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভালো মানুষ হতে হলে কি করতে হবে?’ এবং তারপর বলেন, ‘মাংস খাওয়া নয়’ এরপর তিনি ছাত্রদের শপথ নিতে বলেন ‘আমি মাংস খাব না’।

এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘হিমাচল প্রদেশের একটি উল্লেখযোগ্য পতন হবে যদি নিরীহ পশুদের হত্যা চলতে থাকে। আপনারা নিরীহ প্রাণীদের জবাই করছেন। এটি (প্রাণীদের জবাই করা) পরিবেশের অবক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যা আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন না তবে এটি হবে। ’

তিনি বলেন, ‘ব্যাপক আকারে ভূমিধস এবং মেঘের বিস্ফোরণ এমন আরও অনেক কিছু যা আপনি বারবার দেখতে পাচ্ছেন, এর সবকিছুই এই নিষ্ঠুরতার প্রভাব। ’

বক্তৃতাটি তিনি কখন করেছিলেন তা জানা যায়নি তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আইআইটি পরিচালক তার মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে বেহেরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কল বা খুদে বার্তার জবাব দেননি তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

এদিকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ হিমাচল প্রদেশ (সিইউএইচপি) এর স্কুল অফ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ডিপার্টমেন্টের প্রধান অমব্রিশ কুমার মহাজন বলেছেন, এই অঞ্চলের পরিবেশ ভঙ্গুর এবং টেকটোনিক প্লেটেও প্রচুর নাড়াচড়া রয়েছে। দ্বিতীয়ত, রাজ্যটিতে সম্প্রতি প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে যার ফলে মাটি আনেক বেশি নরম হয়ে গেছে যার কারণে ভূমিধস হয়েছে।  

তিনি বলেন, মেঘ বিস্ফোরণও কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে এটি আবহাওয়ার একটি ধরণ। প্রসঙ্গত গত মাসে ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।