গেল ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হয়ে গেল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো বিশ্বনেতারা অংশ নেন।
এই সম্মেলন ঘিরে দিল্লিতে চলে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। বিভিন্ন বিলবোর্ড দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতীক পদ্মফুল এবং নতুন কাজ করা সড়কে দেখা যায় মোদির মুখচ্ছবি।
জি-২০ সম্মেলনের আগে আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন লেখিকা ও অধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ভারত সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছেন তিনি।
নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে তিনি জি-২০ সম্মেলন এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন অরুন্ধতী রায়।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন এবং সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সম্পর্কে আপনার মতামত কী- আল জাজিরার এমন প্রশ্নের উত্তরে অরুন্ধতী রায় বলেন, দেখুন, আমি মনে করি না যে, কেউ সত্যিই এ নিয়ে চিন্তা করে কারণ... জি-২০ সম্মেলন এখানে হচ্ছে। সবাই সুযোগ খুঁজছে, বাণিজ্য চুক্তি, সামরিক সরঞ্জাম চুক্তি কিংবা ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত বোঝাপড়ার সুযোগ। এখানে যারা আসছেন, রাষ্ট্রপ্রধান বা অন্য কেউ, এমনটি নয় যে, তারা জানেন না ভারতে ঠিক কী ঘটছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে মূলধারার মিডিয়াগুলো ভারতে যা ঘটছে তা নিয়ে সমালোচনা করেছে। তবে সেসব দেশের সরকারের সম্পূর্ণ আলাদা এজেন্ডা রয়েছে। এখানে যারা আসছেন, তাদের জন্য যে এটি একটি সমস্যা, তা বিশ্বাস করতে কারো যথেষ্ট নির্বোধ হওয়া দরকার, এমনটি আমি মনে করি না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অরুন্ধতী রায় বলেন, পশ্চিমা নেতা যারা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন- বাইডেন, ম্যাক্রোঁ, তারা জানেন এখানে কী হচ্ছে। তারা জানেন যে, মুসলমানদের গণহত্যা করা হয়েছে। যে মুসলমানরা প্রতিবাদ করেন, তাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো সব সরকারি প্রতিষ্ঠান - আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট, গণমাধ্যম - এতে সহযোগিতা করে।
সূত্র: আল-জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
আরএইচ