হামাস-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে দুটি ভিডিও ফুটেজ আলোচনায় এসেছে।
এরমধ্যে একটি দুই বছর আগের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, সেটি ছিলহামাস যোদ্ধাদের সদ্য নির্মিত একটি প্রশিক্ষণ শিবির। এটি গাজা এবং ইসরায়েল সীমান্তবর্তী এরেজ ক্রসিংয়ের খুব কাছেই বানানো হয়েছিল। আর গত সপ্তাহে ওই শিবির থেকেই ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন হাসামযোদ্ধারা। আর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করে তারা।
অপর ভিডিওটি এক বছরেরও বেশি সময় আগে করা। তাতে দেখা যায় হামাসযোদ্ধারা প্যারাগ্লাইডারদের সঙ্গে টেক-অফ, ল্যান্ডিং এবং হামলার অনুশীলন করছেন। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছিল হামাস এবং প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।
হামাস এবং এর সহযোগীদের প্রকাশিত প্রায় দুই বছরের প্রশিক্ষণ এবং প্রচারের ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে সিএনএন।
গণমাধ্যমটি বলছে, গাজাজুড়ে কমপক্ষে ছয় স্থানে আক্রমণের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছে হামাস। গত সপ্তাহের হামলার প্রস্তুতি হিসেবে এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়েছেন তারা। এই ছয় প্রশিক্ষণ শিবিরের মধ্যে দুটি গাজা–ইসরায়েল সীমান্ত থেকে মাত্র এক মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আর এই সীমান্ত খুবই সুরক্ষিত, যেখানে ইসরায়েলি সেনাদের টহল সবসময়ই থাকে। বাকি শিবিরগুলোর একটি মধ্য গাজায় এবং বাকি তিনটি দক্ষিণ গাজায়।
অর্থাৎ হামাস সমতল ভূমিতে দুই বছর ধরে প্রশিক্ষণ চালিয়ে গেছে অথচ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী টেরই পায়নি।
এসব প্রশিক্ষণ শিবিরের খোঁজ পায়নি তারা এবং ৭ অক্টোবরের হামলাও রুখতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
এমন ব্যর্থতার বিষয়ে সিএনএনকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লে. কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, এসব তথ্য ‘নতুন কিছু নয়’। হামাসের ‘অনেক প্রশিক্ষণ এলাকা’ রয়েছে। গত কয়েক বছরে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের অনেক প্রশিক্ষণ এলাকা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গত দুই বছরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর বড় কোনো সংঘাত হয়নি। এ সুযোগে ‘বেসামরিক স্থাপনার’ আদলে হামাস হয়তো প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসএএইচ