মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা রাশিয়ার একটি প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে। এই প্রস্তাবে রাশিয়ার সঙ্গে চারটি দেশ ভোট দিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভেসেলি নেবেনজিয়া বলেন, ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রস্তাবটি পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি এই বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে একটি সারগর্ভ আলোচনা শুরু করতে অবদান রেখেছে। আমাদের অনুপ্রেরণা ছাড়া সবকিছুই হয়তো শূন্য বা ফাঁকা আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকত।
প্রস্তাবের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভোট দেওয়া যুক্তরাজ্য মস্কোর পরামর্শের অভাব থাকার সমালোচনা করেছে এবং অভিযোগ তুলে বলেছে, রাশিয়া ঐকমত্য খোঁজার গুরুতর প্রচেষ্টা করছে না। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের দূত বারবারা উডওয়ার্ড কাউন্সিলকে বলেন, আমরা এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করতে পারি না, যা হামাসের হামলার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, পরিষদ কি সভ্যতার লড়াইকে সমর্থন করবে, নাকি এটা জিহাদিদের গণহত্যাকে উৎসাহিত করবে, যারা সব বিধর্মীকে হত্যা করার লক্ষ্য রাখে?
ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর বলেন, গাজায় হামলা চালানো ইসরায়েলকে প্রতিহত করা ইসরায়েলের নৈতিক দায়িত্ব। তার দাবি সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ১২ জনের প্রাণ যাচ্ছে। তিনি বলেন, এমন ইঙ্গিত দেবেন না যে, ফিলিস্তিনিদের জীবনের কোনো দাম নেই। এটি বলবেন না যে, ইসরায়েল আমাদের মাথায় বোমা ফেলছে, এতে তাদের কোনো দায় নেই।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এখন গাজা এক অবরুদ্ধ নগরী। ইসরায়েল সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে। এখনো হামলা চলছেই। এর মধ্যেই গাজার উত্তর অংশের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় ২ হাজার ৮০৮ জনের প্রাণ গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে প্রাণ গেছে ১৪শর বেশি মানুষের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
আরএইচ