ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

গাজায় জ্বালানি সরবরাহ ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’: জুলিয়েট তোমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
গাজায় জ্বালানি সরবরাহ ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’: জুলিয়েট তোমা

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলিয়েট তোমা বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি সরবরাহ ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’। অঞ্চলটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা জরুরি।

বিশেষ করে ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুদের জীবন রক্ষা করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জাতিসংঘ। মূলত, সেদিক চিন্তা করেই কথাটি বলেছেন তোমা।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, গাজায় ইউনাইটেড নেশনস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি রিফিউজির (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মকাণ্ডের জন্য জ্বালানি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া গাজার মানুষ ব্যাপক পানি সংকটে ভুগছেন। তাদের কলে পানি আসার জন্যই জ্বালানি দরকার।

গাজা-মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর। তিনি বলেছেন, রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ায় ত্রাণ সহায়তাবহনকারী ট্রাকগুলো গাজায় ঢোকার অনুমতি পেয়েছে। এ সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে শুধু একবার সহায়তা দিলেই হবে না।

জাতিসংঘের মানবিক বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসও ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া ‘শেষ হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি- এ সহায়তা গাজার মানুষের জন্য খাবার-পানি, ওষুধ ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ প্রদানের একটি টেকসই সূচনা হতে যাচ্ছে।

মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, সহায়তাবাহী ২০টি ট্রাক মিশর থেকে গাজায় পৌঁছতে রাফাহ ক্রসিং ছেড়েছে। এ সহায়তা শেষ হওয়া উচিত নয়।

সহায়তার বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনও। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রাফাহ ক্রসিং চালু করা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম পদক্ষেপ’।

ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় সকালে দিকে গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। এরপরই ওষুধ ও খাবারসহ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢোকে।

সিএনএন বলেছে, ২০টি ট্রাক গাজার অভ্যন্তরে ঢোকার পর সীমান্ত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় যে ২০ ট্রাক ত্রাণ বহর প্রবেশ করেছে তাতে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সীমিত পরিমাণে টিনজাত খাবার আছে।

এর আগে সকাল থেকে সীমান্ত অতিক্রমের জন্য অপেক্ষায় ছিল ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো। জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলছে, এই ত্রাণের পরিমাণ গাজার প্রয়োজনীয় চাহিদার চেয়ে অনেক কম। যাকে জাতিসংঘ ‘সাগরে এক বিন্দু জল ফেলার’ সঙ্গে তুলনা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।