ডিউটির সময় শেষ, তাই যাত্রীবোঝাই ট্রেন পথে থামিয়েই ট্রেন ফেলে চলে যান এর চালক। এতো গেল একটি ঘটনা।
এ দুই ঘটনায় দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনের আড়াই হাজারের বেশি যাত্রী আটকে পড়েছিলেন।
ঘটনা দুটি ঘটেছিল গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বুধবার উত্তর প্রদেশে বড়বাঁকি জেলার বুঢ়ওয়াল জংশনে সহরস-নয়া দিল্লি ছাঁট পূজা স্পেশাল ট্রেন ও বারুয়ানি-লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেস নামের ট্রেন দুটি চালাতে অস্বীকৃতি জানায় দুই চালক। এতে দুটি ট্রেনই আটকা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনে পানি, খাবার ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাব দেখা দেয়। এতে যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের একটা বড় অংশ রেললাইন অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে দুই ট্রেন লাইনে থেমে থাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট রেল ট্র্যাক। এমন পরিস্থিতি কয়েক ঘণ্টা চলে। এরইমধ্যে অন্য জংশন থেকে চালক আনিয়ে ট্রেন দুটিকে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রেল সূত্রে খবর, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল সহরস-নয়া দিল্লি ট্রেনের। কিন্তু, ট্রেনটি পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সহরসা স্টেশন ছাড়ে। ১৯ ঘণ্টা দেরিতে গোরক্ষপুর স্টেশন পৌঁছায়। বুরওয়াল স্টেশনে এটি দাঁড়ানোর কথা না থাকলেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন সেখানে। এরপর ডিউটির সময় শেষ বলে চলে যান।
অন্যদিকে বারাউনি-লখনৌ জংশন এক্সপ্রেস সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল। সেই ট্রেনও বুরওয়াল স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রীরাও দেখেন, চালক ট্রেন ছেড়ে চলে গেছেন।
এক রেল আধিকারিক জানান, "ট্রেনের এক লোকো পাইলট অস্বস্তি বোধ করছেন দাবি করে ট্রেন ছেড়ে চলে যান। যেহেতু যাত্রীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার, নতুন করে গোন্ডা জংশন থেকে কর্মীকে ডাকা হয়। এরপর বিকাল ৫টা ৪২ মিনিট নাগাদ লখনৌয়ের উদ্দেশে ট্রেন ছাড়ে। "
ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ‘ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আমাদের মতো গরিব যাত্রীদের ওপার এটা বিশেষ অত্যাচার। পানি নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘুমের কথা বলে চালক ও ট্রেনের গার্ড দুই জনেই ট্রেন থেকে নেমে চলে গেছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
এসএএইচ