ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

‘নাৎসি’ অপবাদ দিয়ে ডয়চে ভেলে বন্ধ করে দিল ভেনেজুয়েলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
‘নাৎসি’ অপবাদ দিয়ে ডয়চে ভেলে বন্ধ করে দিল ভেনেজুয়েলা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো

ল্যাটিন অ্যামেরিকায় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেশ ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংগঠিত অপরাধ চক্রের যোগসাজশ নিয়ে একাধিক ভাষায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।  

সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডয়েচে ভেলেকে ‘নাৎসি’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিরস্কার করে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তোলেন।

 

অভিযোগের তালিকায় তিনি সিএনএন এবং সেই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের স্প্যানিশ ভাষার শাখা, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকেও রাখেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থাকে মাদুরো বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের মতো জার্মানির ‘নাৎসি’ মিডিয়া ডয়চে ভেলেও বিশ্বের সব অপরাধের জন্য ভেনেজুয়েলার মানুষকে দায়ী করছে।  

তিনি মনে করেন, ভেনেজুয়েলা ও ব্যক্তিগতভাবে তার ভাবমূর্তির ক্ষতি করা-ই এ অভিযানের লক্ষ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ডিডব্লিউর এক বার্তায় ভিডিওর কিছু অংশ শেয়ার করে মন্তব্য করা হয়, দুর্নীতির ক্ষেত্রে মাদুরোর নিজের ভূমিকা স্পষ্ট নয়।

মাদুরোর অভিযোগের পরই ভেনেজুয়েলায় ডয়চে ভেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে৷ 

ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক অবিলম্বে ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে ডিডব্লিউর স্প্যানিশ ভাষার চ্যানেলের সম্প্রচার আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।  

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার মানুষকে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ তথ্য সন্ধানের অধিকার থেকে গুরুতরভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

পিটার লিমবুর্গের মতে, মাদুরোর শাসনকালে লাখ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।  

তিনি বলেন, সে দেশে সংবাদ মাধ্যমের মৌলিক স্বাধীনতা নেই। তাই তথ্য-নির্ভর সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাদুরোর অযৌক্তিক তুলনা অপ্রত্যাশিত নয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দারিদ্র্য ও সহিংসতার কারণে ৭০ লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে গেছেন।

ল্যাটিন অ্যামেরিকার তরুণ প্রজন্মের জন্য ইউটিউব স্টাইলের ভিডিও ফরম্যাট চালু করে ডয়চে ভেলে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে।  

‘কোমো তে আফেক্তা' বা ‘এটা তোমাকে কীভাবে প্রভাবিত করে' নামের ভিডিওতে চলতি সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় দুর্নীতি সম্পর্কে নানা তথ্য পেশ করা হয়েছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনলকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে সোমালিয়ার ঠিক পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্সের তথ্য অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভেনেজুয়েলার স্থান ১৫৯। ১৮০টি দেশের সেই তালিকার শেষের দিকে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ কিউবা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ার নামও রয়েছে।  

আগামী ২৮ জুলাই ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।