ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করা আট দস্যু সোমালিয়া উপকূলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করা আট দস্যু সোমালিয়া উপকূলে গ্রেপ্তার ছবি: গারোই অনলাইন

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে এক মাসেরও বেশি সময় জিম্মি রাখা জলদস্যুদের মধ্যে অন্তত আটজন সোমালিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য প্যান্টল্যান্ডের উপকূলে গ্রেপ্তার হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে তাদের গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘গারোই অনলাইন’।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে জাহাজ ও এতে থাকা ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।

জাহাজটির মালিকপক্ষ করিম স্টিল রি-রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। রাত ১২টায় জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

পান্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি রাখা জলদস্যুদের আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দস্যুদের দেওয়া মুক্তিপণের অর্থ অভিযানে উদ্ধার করা গেছে কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গ্যারোই অনলাইনকে বলেন, মুক্তিপণ দেওয়ার চর্চা আরও বেশি দস্যু আক্রমণকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের উৎপাত দেখা যাচ্ছে। আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্র বলছে। এই দস্যুদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে সেদেশের সরকার।

গত ১২ মার্চ কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার সময় ভারত মহাসাগরে ওই জলদস‍্যুদের কবলে পড়ে  ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় দস্যুরা। এতদিন ধরে মোজাম্বিকের কাছাকাছি জলসীমায় রাখা হয়েছিল জাহাজটি।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজের নাবিকেরা

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।