ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করছে। উচ্চ মাত্রায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক থাকার অভিযোগে হংকং এই দুই কোম্পানির কিছু পণ্যের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।

রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এফডিএর একজন মুখপাত্র শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এফডিএ এ খবর সম্পর্কে সচেতন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করছে।

হংকং এই মাসে মাছের তরকারির জন্য এমডিএইচের তিনটি মসলা এবং এভারেস্টের মসলা বিক্রি স্থগিত করেছে। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরও এভারেস্টের মসলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে বলেছে, এতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে, যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযুক্ত এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।

রয়টার্স সর্বপ্রথম মার্কিন এফডিএর ভারতীয় মসলা পণ্যের কথিত দূষণের পর্যালোচনার প্রতিবেদন করেছে। এমডিএইচ ও এভারেস্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেয়নি।

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, এভারেস্ট এর আগে বলেছে, তাদের মসলা খাওয়ার জন্য নিরাপদ। এমডিএইচ এখনো পর্যন্ত তাদের পণ্য সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।

এমডিএইচ ও এভারেস্ট কোম্পানির মসলা ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও এগুলো বিক্রি হয়। ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) হংকং ও সিঙ্গাপুরের পদক্ষেপ অনুসরণ করে এখন কোম্পানি দুটির গুণগত মান পরীক্ষা করছে।

ভারতের মসলা রপ্তানির নিয়ন্ত্রক ভারতের মসলা বোর্ড বুধবার বলেছে, তারা হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমডিএইচ ও এভারেস্ট কোম্পানির রপ্তানির তথ্য চেয়েছে। পাশাপাশি কারখানা পরিদর্শন করে গুণগতমান সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর ‘মূল কারণ’ খুঁজে বের করতে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৯ সালে সালমোনেলা দূষণের জন্য এমডিএইচের পণ্যগুলোর কয়েকটি ব্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।