ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চীনের দক্ষিণাঞ্চলে মহাসড়ক ধসে নিহত ৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে মহাসড়ক ধসে নিহত ৪৮

দক্ষিণ চীনে একটি মহাসড়ক ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে। জরুরি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে (০৭:৩৫ জিএমটি) সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা জানিয়েছে। তারা আগে ৩০ জন আহত হওয়ার খবরও জানিয়েছিল।

বুধবার সকালে যখন মহাসড়কটি ধসে পড়ে তখন চীন তার মহান মে দিবসের ছুটি পালন করছিল।

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার  ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে। এখন পর্যন্ত ২৩টি যানবাহন ধসে পরা কাঁদার মধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেই ধসে পরা কাঁদামাটি থেকে যানবাহনগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক নোটিশে বলেছে, এস১২ মহাসড়কের একটি অংশ উভয় দিক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গাড়িচালকদের বিকল্প পথে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে জননিরাপত্তা, জরুরি প্রতিক্রিয়া, অগ্নিনির্বাপণ এবং খনির উদ্ধার পরিচালনাকারী বিভাগের লোকজন রয়েছে।

সিনহুয়া জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়ক ধসে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। তবে আহতদের কেউ শঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি বলেছে ঘটনাটি প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়, অবিরাম ভারী বৃষ্টির প্রভাবে ঘটেছে। মহাসড়কের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশে ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩টি যানবাহন কর্দমাক্ত গর্তে পাওয়া গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা গাড়ি পড়ার শব্দ শুনেছেন এবং তারপর একটি বিকট শব্দ পান।

একজন গুইঝো ইভিনিং নিউজকে বলেছেন, আমরা থামলাম এবং চেক করার জন্য গাড়ি থেকে নামলাম এবং রাস্তাটি ধসে গেছে তা বুঝতে পারিনি।

গত মাসে প্রবল বর্ষণে প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় চারজন নিহত হয় এবং একলাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়।

গত সপ্তাহে গুয়াংজু শহরের মেগাসিটিতে টর্নেডোতে পাঁচজন নিহত হন।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বছরের এ সময়ে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতের চেয়ে অনেক বেশি ভারী বর্ষণ হয়েছে।  

সূত্র: আল জাজিরা

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।