ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ জুন ২০২৪, ১৩ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কিরগিজস্তানে সহিংসতা: পরীক্ষা না দিয়েই ফিরতে চান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
কিরগিজস্তানে সহিংসতা: পরীক্ষা না দিয়েই ফিরতে চান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা 

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের সহিংসতার কারণে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

আর এই সহিংসতা ছড়ানোর জন্য জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

ড. জেরিত ইসলাম নামে বিশকেকের বাংলাদেশি ছাত্রদের এক প্রতিনিধি ঢাকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত রাত থেকে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের হোস্টেলে কোনো বড় হামলা হয়নি, তবে স্থানীয় যুবকদের বিদেশিদের ভয় দেখানো এবং লুটপাটের কিছু খবর পাওয়া গেছে।  

তিনি জানান, জুনে যদিও তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে; নিরাপত্তার স্বার্থে তারা একত্রিত হয়ে চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। এ ব্যপারে (দায়িত্বপ্রাপ্ত তাসখন্দ) দূতাবাস তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।  

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগির কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্থানীয়দের সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে নিজ নিজ দেশের শিক্ষার্থীদের আবাসস্থলের বাইরে না যেতে অনুরোধ করেছে ভারত ও পাকিস্তান।  

দেশটিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার মুহূর্ত থেকে কিরগিজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এতে জড়িত বিদেশি এবং কিরগিজ নাগরিক সবাইকেই আটক করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে।

কিরগিজ পুলিশ বলেছে, সহিংসতা দমন করার জন্য তারা রাজধানীতে বাহিনীকে একত্রিত করেছে। খবর এনডিটিভি।

এদিকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একাধিক ঘটনার পর পাকিস্তানও আজ কিরগিজস্তানে থাকা পাকিস্তানি ছাত্রদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। পাকিস্তান বলেছে, তারা সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, হামলায় তিন পাকিস্তানি ছাত্র নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার বলছে, এই ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

এর আগে কিরগিজ রাজধানী বিশকেকে শত শত কিরগিজ জনতা ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি ছাত্রদের আবাসিক হলে হামলা চালায়।  

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ ও পাকিস্তানি-মিসরি ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এমএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।