জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় দুটি মানচিত্র দেখান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শুক্রবারের ওই ভাষণে দেখানো দুটো মানচিত্রের কোথাও ছিল না ফিলিস্তিন।
একটি মানচিত্রে সবুজ রং দিয়ে কয়েক দেশকে ‘আশীর্বাদ’ এবং আরেকটি মানচিত্রে কয়েকটি দেশকে কালো রং দিয়ে চিহ্নিত করে ‘অভিশাপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
তার ডান হাতের কালো রং দিয়ে চিহ্নিত মানচিত্রের ‘অভিশপ্ত’দেশগুলো ছিল- ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন। এই দেশগুলো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন নেতানিয়াহু।
আর বাম হাতে ধরা সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত মানচিত্রের ‘আশীর্বাদ’দেশগুলো ছিল- মিসর, সৌদি আরব ও সুদান এমনকি ভারতও। অর্থাৎ এসব দেশ ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়।
‘আশীর্বাদ’ বা ‘অভিশপ্ত’কোনো মানচিত্রেই ফিলিস্তিনের অনুপস্থিতি দেখা গেছে । যার মানে হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা।
জাতিসংঘে দেওয়া ওই ভাষণে অভিশপ্ত দেশগুলো ও ইরানের প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু। লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে চলমান সহিংসতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন তিনি। লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদেরকে ইরান আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইরানকে হুঁশিয়ার করে নিতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফ্রন্টে নিজেকে রক্ষা করে চলেছে। আপনারা (ইরান) যদি আমাদের ওপর হামলা চালান, তাহলে আমরাও আপনাদের ওপর হামলা চালাব। যত দিন হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পথ বেছে নেবে, ততদিন ইসরায়েলের এই হুমকি দূর করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। ’
নেতানিয়াহু যখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন কয়েকশত কূটনীতিক প্রতিবাদ জানিয়ে বাইরে বের হয়ে যান।
নেতানিয়াহুর এ ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহুকে থামাতে হবে, কারণ তিনি গোটা অঞ্চলকে প্রকাশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি বিপদ সৃষ্টি করছেন। কারণ তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান চান না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
এসএএইচ